পঞ্জাবে(Punjab) মোমো তৈরির কারখানার ফ্রিজে কুকুরের কাটা মুণ্ড উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোহালিতে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্পোরেশনের মেডিক্যাল টিম অভিযান চালালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই কারখানায় মোমো তৈরিতে অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। দোকানটি মূলত মোমো এবং স্প্রিং রোল বানানোর জন্য খ্যাত।
স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন যে, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় পচা শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে। ফাস্ট ফুড সেন্টারগুলিতেও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি হচ্ছে। এরপরেই রবিবার ও সোমবার মোহালির আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে মোহালির স্বাস্থ্য দফতর। মোহালির দুটি এলাকা পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
বিশেষ করে ফাস্ট ফুড সেন্টারের খাবারগুলি পরীক্ষা করেন তাঁরা। এরপরেই মোমো ও স্প্রিং রোল প্রস্তুতকারক সংস্থার খোঁজ পায় প্রশাসন। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে কুকুরের কাটা মুণ্ড এবং হিমায়িত পচা মুরগির মাংস বাজেয়াপ্ত করে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। মোহালির সহকারী খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার অমৃত ওয়ারিং জানিয়েছেন, অভিযানের সময় মোমো কারখানার ফ্রিজ থেকে কুকুরের মাথার মতো দেখতে পচা মাংস উদ্ধার করা হয়। ওই অংশটি পরীক্ষা করার জন্য পশু চিকিৎসা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও কারখানায় উৎপাদিত মোমো, স্প্রিং রোল এবং চাটনির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের অভিযানের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে কারখানার মালিকের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ফ্রিজে পাওয়া মাথাটি মোমো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়নি, বরং এটি তাদের ব্যক্তিগত খাবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। জানা গিয়েছে, কারখানাটি নেপালের কিছু বিক্রেতা পরিচালনা করছিলেন। মোহালির সিভিল সার্জন ডাঃ সঙ্গীতা জৈনা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনাকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করে মোমো ও অন্যান্য খাবার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করত। জনস্বাস্থ্যের জন্য বিষয়টি বড় ধরনের হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্ত কারখানাটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।