সদ্য পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। সেখানে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির কারণ নিয়ে মুখ খোলেন মোদী। বক্তব্যে তুলে ধরেন সন্ত্রাস ইস্যু। এদিকে, মোদীর সেই বক্তব্যকে পক্ষপাতমূলক ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এরপরই ইসলামাবাদকে পাল্টা জবাব দিল দিল্লি। সাফ ভাষায় দিল্লি জানিয়েছে, মিথ্যা প্রচার না করে, অবৈধভাবে দখল করা ভারতীয় এলাকা খালি করে দিল পাকিস্তান।
পডকাস্টে নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) বলেছিলেন,’ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, তার সঙ্গে ঠিক কোনও না কোনওভাবে পাকিস্তানের যোগসূত্র মিলবেই।’ মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের ওই অনুষ্ঠানে মোদী বলেন,’আমেরিকায় এত বড় ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটল। ওই হামলার যে মূলচক্রী (ওসামা বিন লাদেন) ছিল, শেষপর্যন্ত তার হদিশ কোথায় মিলল? পাকিস্তানেই বসেছিল।’ মোদীর এই বক্তব্য খুব একটা সহজে হজম করতে পারেনি পাকিস্তান! পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক পাল্টা দাবি করেছিল,’ পাকিস্তান নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং একতরফা। তারা সুবিধামতো জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুকে বাদ দেয়। রাষ্ট্রসংঘ, পাকিস্তান এবং কাশ্মীরি জনগণের কাছে ভারতের দৃঢ় আশ্বাস সত্ত্বেও গত সাত দশক ধরে অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে এই ইস্যু।’ এরপরই পাল্টা হুঙ্কার এল দিল্লি থেকে। সাফ কথায় ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে,’ মিথ্যা না ছড়িয়ে, পাকিস্তানের উচিত তাদের অবৈধ ও জোরপূর্বকভাবে দখল করা ভারতীয় এলাকা খালি করা।’
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,’আমরা নোট করেছি যে, পাকিস্তান ফের একবার ভারতীয় ভূখণ্ডের জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করেছে। বিশ্ব জানে, সীমান্তপারের সন্ত্রাসে পাকিস্তানের সক্রিয় প্রচার ও স্পনশরশিপ সম্পর্কে।’ উল্লেখ্য, মোদী তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, দেশভাগের সময় থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ওই পাডকাস্টের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী সাফ ভাষায় বলেন,’ দুনিয়া জেনে গিয়েছে যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী প্রবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা তৈরি হয়ে আছে।’ কার্যত সেই সুর ধরে রেখেই ইসলামাবাদকে জবাব দিয়ে দিল দিল্লি। দিল্লি জানিয়েছে, সীমান্তপারের সন্ত্রাসে পাকিস্তানের সক্রিয় প্রচার প্রচারের জন্যই দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওই পডকাস্টে মোদী বলেন,’ যখন আমি প্রধানমন্ত্রী হই, তখন আমি আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম যাতে আমরা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি প্রচেষ্টা, শত্রুতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে তাদের জ্ঞানের উদয় হোক এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে।’