Sunita Williams India Connection। পাঠান মহাকুম্ভের ছবি- সুনীতা সত্যিই ‘ভারতের মেয়ে’

Spread the love

ঘড়ির কাঁটায় ঠিক রাত ৩ টে ২৭ মিনিট – আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে অবতরণ করে সুনীতা উইলিয়ামসদের মহাকাশযান। আর তার পাক্কা ৫৫ মিনিট পরে স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতা(Sunita Williams)। মুখে ছিল একরাশ হাসি। যিনি শুধু খাতায়কলমে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন, তিনি সত্যিই ‘ভারতের মেয়ে’। তাঁর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে ভারতীয় শিকড়।

সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাল্গুনী জানিয়েছেন যে গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন। সেইসময় সুনীতাকে মহাকুম্ভের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর সুনীতা একটি ছবি পাঠিয়ে দেখিয়েছিলেন যে মহাকাশ থেকে মহাকুম্ভ মেলাকে দেখতে কেমন লাগছে। ফাল্গুনীর কথায়, ‘(সুনীতা যে ছবি পাঠিয়েছিলেন), সেটা মহাকুম্ভ মেলার একটা অভূতপূর্ব ছবি ছিল।’

ফাল্গুনী জানিয়েছেন যে মহাকাশে গণেশ মূর্তিও নিয়ে গিয়েছিলেন সুনীতা। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাল্গুনী জানান যে মহাশূন্যে (আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে) গণেশ মূর্তি যে ভেসে আছে, সেই ছবি সুনীতা পাঠিয়েছিলেন। সুনীতাকে নিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাল্গুনী। সুনীতা পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে তিনি জানান, ‘ও ফিরে এলে আমরা আবারও ভারতে যাব।’শুধু তাই নয়, ভারতীয় খাবার খেতেও সুনীতা খুব ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন ফাল্গুনী। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাল্গুনীর কথায়, ‘সুনীতা ভারতীয় খাবার খেতে খুব ভালোবাসে।’ আর সুনীতার পছন্দের ভারতীয় খাবারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিঙাড়া। প্রথমবার যখন মহাকাশে গিয়েছিলেন, তখন তো সিঙাড়া নিয়েও গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা।

২০০৬ সালে মহাকাশ থেকে ফেরার পরে সুনীতা বলেছিলেন, ‘ভারতীয় খাবার! আপনি কখনও ভারতীয় খাবারের প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন না। আমায় নিশ্চিত করতেই হত যে মহাকাশে খাওয়ার জন্য যেন আমার কাছে সিঙাড়া থাকে। তাছাড়াও মহাকাশে আরও অনেক ধরনের ভারতীয় খাবার ছিল।’ আর তা শুনে অনেকে বলেছিলেন যে নিজের শিকড় ভুলে যাননি সুনীতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *