Woman stabs husband: স্বামীকে কাঁচি দিয়ে হামলা মহিলার

Spread the love

শাশুড়ির হাতের রান্না করা খাবার খেতে চাননি যুবক। তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা ভয়ঙ্কর রূপ নিল। স্বামীকে কাঁচি দিয়ে বারবার আঘাত করল স্ত্রী। যার ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর হোসাকেরহল্লিতে। ওই যুবকের চোয়াল, পিঠ এবং হাতে কাঁচি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবক। পালটা যুবকের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক তার স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে প্রথমে পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাত ৯ টার দিকে তিনি স্ত্রী, সন্তানকে বাড়িতে নামিয়ে তিনি পাশের এবং একটি বার ও রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার ও মদ্য পান করে বাড়ি ফেরেন। এরপর বাড়ি ফিরতেই যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সেই সময় তার স্ত্রী মায়ের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার তাকে খেয়ে নিতে বলেন। উল্লেখ্য, যুবকের শ্বশুরবাড়ি তাদের পাশের বিল্ডিংয়েই অবস্থিত। 

মহিলা অভিযোগ তোলেন, তার স্বামী শুধু তার নিজের মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খান। এনিয়ে দুজনের বচসার মধ্যেও আচমকা একটি কাঁচি নিয়ে স্বামীকে বারবার আঘাত করতে থাকে ওই মহিলা। শেষে স্ত্রীর হামলা থেকে বাঁচতে শ্বশুর বাড়িতে চলে যান ওই যুবক। অভিযোগ সেখানেও তার শ্বশুর শাশুড়ি তার স্ত্রীকে সমর্থন করেন। এরপর কাছাকাছি হাসপাতালে যান ওই যুবক। সেখানে চিকিৎসা করার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ মহিলার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়।

অন্যদিকে মহিলাও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পালটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। পরে পুলিশ তাদের কাউন্সেলিং করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির একটি হোটেল রয়েছে। সেই সূত্রেই মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর তারা ২০২১ সালে বিয়ে করেছিলেন।

তবে যুবক খাবার খেতে আপত্তি জানান। তিনি জানিয়ে দেন বাইরে থেকে খেয়ে এসেছেন। কিন্তু, স্ত্রী তার মায়ের হাতে রান্না করা খাবার স্বামীকে খাওয়ানোর জন্য জোর করতে থাকেন। শেষে যুবক না খাওয়ায় মহিলা খাবার খেয়ে ফেলেন। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই মহিলা এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *