স্টারলিংক(Starlink) ইন্টারনেট(Internet) পরিষেবার জন্যে সাময়িক ‘নো অপজেকশন সার্টিফিকেট’ দিল পাকিস্তানের সরকার। ২১ মার্চ এই নিয়ে পাকিস্তানের আইটি মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে এই কথা জানায়। উল্লেখ্য, স্টারলিংক পরিষেবা চালুর জন্যে সম্প্রতি ভারতেও জিও এবং এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্টারলিংক। তবে এই দেশে এখনও ভারত সরকারের অনুমতি পায়নি স্টারলিংক(Starlink)। এই আবহে ভারতের আগে পাকিস্তানেই স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে।
পাকিস্তানের আইটি মন্ত্রকের বিবৃতিতে মন্ত্রী শাজা ফাতিমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নির্দেশে আপাতত সাময়িক ভাবে স্টারলিংককে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকল নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেই স্টালিংককে সাময়িক ভাবে এনওসি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে স্টারলিংকের আগমনের ফলে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক বেশি উন্নত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও বলেছেন, পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও উন্নত হওয়া উচিত। এই আবহে মন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে স্টারলিংক পরিষেবা চালুর বিষয়টি ‘গোটা সরকার’ কাজ করেছে। তাঁর কথায়, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, পাক টেলিকম কর্তৃপক্ষ, পাকিস্তান মহাকাশ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ বোর্ড একসঙ্গে কাজ করেছে স্টারলিংককে অনুমতি দেওয়ার জন্যে।
ভারতে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার জন্য স্পেসএক্সের সাথে অংশীদারিত্বের বিষয়ে এয়ারটেলের ঘোষণা করে ১১ মার্চ। আর সেই ঘটনার একদিন পরই ইলন মাস্কের সংস্থার সাথে একই ধরণের চুক্তি ঘোষণা করে মুকেশ আম্বানির জিও। রিপোর্ট অনুযায়ী, জিও তার খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি তার অনলাইন স্টোরফ্রন্টগুলির মাধ্যমে স্টারলিংকের ডিভাইসগুলি বিক্রি করবে। চুক্তিটি স্পেসএক্সের ভারতে স্টারলিংক বিক্রির নিজস্ব অনুমোদন পাওয়ার সাপেক্ষে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে ইলন মাস্ক আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। ভারতও কয়েকদিন আগে জানিয়ে দেয় যে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে নিলাম হবে না। বরং প্রশাসনিক ভাবে বণ্টন করা হবে স্পেকট্রাম। এর আগে টেরেস্ট্রিয়াল স্পেকট্রামের বণ্টন নিলামের ভিত্তিতে হত। জিও এবং এয়ারটেল এই পদ্ধতিকেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে বরাবরই এই নিমাল পন্থার বিরোধিতা করে এসেছেন ইলন মাস্ক। আর এবার এয়ারটেল এবং জিও-র সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হয়ে পড়ল মাস্কের স্পেসএক্স। অবশ্য, এখন দেখা যাচ্ছে, হয়ত ভারতের আগে পাকিস্তানেই স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা আগে চালু হতে পারে। এদিকে ভারতের আরও এক পড়শি দেশ, বাংলাদেশেও স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে সম্প্রতি।