এখনও মানসিক অবসাদের জন্য ওষুধ খেতে হয় ‘লাফটারসেন’কে

Spread the love

বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নিরঞ্জন মণ্ডল(Niranjan Mondal) ওরফে লাফটারসেন(Laughtersane)। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা যে অসংখ্য তা বলাই বাহুল্য। প্রাথমিক ভাবে নানা মজার মজার ভিডিয়ো তিনি দর্শকদের উপহার দিলেও। বর্তমানে তাঁর ভিডিয়োয় সমাজের নানা ঘটনার ছাপ প্রতিফলিত হয়। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অন্যায় নিয়ে ভিডিয়োকে অস্ত্র বানিয়ে প্রায়শই সরব হয়ে ওঠেন নিরঞ্জন। বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই যে তিনি ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে উঠেছেন। ফলে সবটা মিলিয়ে বর্তমানে যে তিনি তাঁর সাফল্যে শিখরে তা বলাই যায়।

তবে এতগুলো ধাপ অতিক্রম করেও আজও তাঁর সঙ্গী মানসিক অবসাদ। তা থেকে নিজেকে বের করে আনতে এখনও প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে লাফটারসেনকে। ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করতে তাঁকে ওষুধও খেতে হয়। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন নিরঞ্জন।

সম্প্রতি স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী পডকাস্টে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন নিরঞ্জন। তিনি জানান, এখনও তাঁকে মানসিক অবসাদে ভোগার জন্য ওষুধ খেতে হয়। এই বিষয়ে লাফটার সেন বলেন, ‘এখনও প্রতিদিন আমি ট্যাবলেট খাই। আসলে আমি ওটা নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। আমি তো প্রথম প্রথম বুঝতেই পারতাম না কোনটা অ্যাংজাইটি আর কোনটা ডিপ্রেশন। আমার মনে হত এটাই স্বাভাবিক। আমার ভিতরে যখন তোলপাড় হত, তখন আমি ভাবতাম ঠিক আছে। এটা কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু এরপর আমি একটা সময় এটা বুঝতে পারি যে, যা হচ্ছে আমার সঙ্গে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়। আমার অবশ্যই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’

কথা প্রসঙ্গে নিরঞ্জন তাঁর ছোটবেলার কথা জানান। তিনি ভাগ করে নেন তাঁর মা বাবার বিচ্ছেদের কথাও। নিরঞ্জনের মতে এটা তাঁর এই মানসিক অসুস্থতার অন্যতম একটি কারণ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ছোটবেলাটা খুব একটা ভালো ছিল না। বিশেষ করে আমার কৈশোরটা। সেই সময় আমার বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, আইনি ভাবেই। ক্লাস ১১-১২য়ে সময়টা খুব বাজে কেটেছে। ওখান থেকেই আমার এই মানসিক অবসাদের শুরু।’

তবে বর্তমানে তাঁর বাবার অসুস্থতার কারণে আবার তাঁর বাবা-মা একসঙ্গে রয়েছেন সে কথাও জানিয়েছেন নিরঞ্জন। তাঁর কথায়, ‘তবে কয়েক দিন আগে বাবা হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পরেন। ওঁর শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ হয়েছিল যে বাড়িতে সকলে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। তারপর থেকে ওঁরা আবার একসঙ্গে থাকা শুরু করেছেন। কিন্তু কাগজে কলমে ওঁরা আলাদা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *