Techie kills son। নিজের ৩ বছরের সন্তানের গলা কেটে খুন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের

Spread the love

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে। তখনই রাগের বশে ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান প্রযুক্তিবিদ বাবা। গোটা দিনের অনেকটা সময়ই তিনি একটি পানশালায় ছিলেন বলে খবর। তারপর বেলা ১২.৩০ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে বের হন তিনি। তিনি সুপারমার্কেটের দিকে এগোতে থাকেন। তবে শেষমেশ তিনি একটি জঙ্গল ঘেরা জায়গায় গিয়ে পৌঁছন। ঘটনা পুনের চন্দননগরের। অভিযোগ প্রযুক্তিবিদ মাধব তিকেতি খুন করেছেন তাঁর ৩ বছরের ছোট্ট ছেলে হিম্মতকে।

জানা যায়, অনেক্ষণ পর্যন্ত মাধবের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করা যাওয়ায় মাধবের স্ত্রী স্বরূপা বিচলিত হন। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। জানান, তাঁর স্বামী মাধব ও ছেলে হিম্মত নিখোঁজ। এরপর পুলিশ নামে তদন্তে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। দেখা যায়, সেদিন দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ মাধবকে তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখা যায়। তারপর থেকে মাধবকে একাই দেখা যায়। ঘটনার দিন বিকেল ৫ টা নাগাদ মাধবকে জামাকাপড় কিনতে দেখা যায়। এরপরই মাধবের মোবাইল ফোন লোকেশন ট্র্য়াক করে তাঁকে খুঁজে বের করে পুলিশ। পুলিশের সামনে মাধব নিজের সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, মাধব পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ৩৮ বছর বয়সী মাধব, আইআইটি বেঙ্গালুরুর প্রাক্তনী। সেখান থেকে রয়েছে তাঁর এমটেকের ডিগ্রি। মূলত, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা মাধব। জানা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী স্বরূপার প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। ৩০ বছর বয়সী স্বরূপার সঙ্গে ঘটনার দিন সংসারের নানান দিক নিয়ে বচসা হয়েছে বলে খবর।

চাকরি চলে গিয়েছিল মাধবের?

জানা যাচ্ছে, পুনের মাগারপাট্টা সিটিতে এক সফ্টওয়্যার সংস্থায় কাজ করতেন মাধব। ২ মাস আগে তাঁর চাকরি চলে যায় বলে খবর। চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে সেভিংসের ওপর দিয়ে সংসার চালাতেন মাধব। এমনই তথ্য রিপোর্টের। এদিকে, মাধবের স্ত্রী স্বরূপাও একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সামলাতেন ঘর। অন্যদিকে, পুলিশ যখন মাধবকে তাঁর ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, তখন মাধব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উত্তর দিতে থাকে। জেরা আরও জোরালো করে পুলিশ। তখনই মাধব খুনের কথা স্বীকার করে নেয় বলে খবর। এরপর যেখানে সে ছেলের দেহ রেখেছে সেখানে পুলিশকে নিয়ে যায়। পুলিশ উদ্ধার করে দেহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *