হুইপ জারির পরও সকলে উপস্থিত নন! কারা অনুপস্থিত?

Spread the love

বিধানসভার অধিবেশনের শেষলগ্নে হুইপ জারি করা হয়েছিল। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন। বিশেষ করে ১৯ এবং ২০ তারিখ। কারণ ওই দু’‌দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন বলা হয়েছিল। তারপরও বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উপস্থিত ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, কয়েকজন বিধায়কের বিরুদ্ধে হুইপ ‘অমান্য’ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকা এবার তৈরি হচ্ছে।

ওই দু’‌দিন অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিধানসভা চলাকালীন তিনি দেখে নেন, কারা উপস্থিত আছেন এবং কারা নেই। তারপরই বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে তালিকা তৈরি করতে বলে যান মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সমস্ত বিধায়কদের ওই কক্ষে উপস্থিত থাকার কথা। সেখানে এসে চলে যাওয়া এবং সই করে চলে যাওয়া বরদাস্ত করা হবে না আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তাই অনুপস্থিত বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে ১০ থেকে ২০ মার্চ হয় বাজেট অধিবেশন। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। বুধবার ছিল স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট। আর বৃহস্পতিবার আলোচনা হয় অর্থ দফতরের নানা বিলের উপর। এই দু’দিন উপস্থিত থাকার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়কের উদ্দেশে ‘তিন লাইনের’ হুইপ জারি করা হয়েছিল। তার পরেও কয়েকজন অধিবেশনে গরহাজির ছিলেন। সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ২২০। দলবদল করে আসা বিধায়কদের বাদ দিয়ে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তিন লাইনের হুইপ যাঁরা মানেননি তাঁদের আচরণ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল। তাই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে আলোচনা করে অনুপস্থিত বিধায়কদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অন্যদিকে বিধানসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার উপস্থিত ছিলেন ২০০ জন বিধায়ক। আর বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন আরও কম। সেদিন প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। এই অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকাই তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। এই অনুপস্থিতির বিষয়ে মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের বক্তব্য, ‘বুধবারের আগে থেকে যাঁরা ছুটি নিয়েছিলেন এবং ওই দু’দিন অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিদের মধ্যে কারা হুইপ অমান্য করেছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দলীয় স্তরে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *