বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্য়ালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
কী লিখেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য?
‘চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপির জোটসঙ্গী। এই একই ধরনের ছবি বাংলায় দেখিয়ে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মুসলিম তোষণকারী বলে আখ্যায়িত করে। শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করছি, বুকের পাটা থাকলে হিন্দি ভাষায় চন্দ্রবাবু নাইডুকেও একইভাবে আখ্যায়িত করে দেখান..
যদি না পারেন বুঝবো আপনি রাজনৈতিক ভাবে একজন নপুংসক ব্যক্তি এবং একটি আস্ত ভিজে বেড়াল!’লিখেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
সেখানে যে ছবি দেখা রয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডু মাথায় ফেজ টুপি পরেছেন। এটা মূলত চন্দ্রবাবুর প্রোফাইল থেকে নেওয়া। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘রমজান মাস উপলক্ষে বিজয়ওয়াডায় রাজ্য সরকারের দেওয়া ইফতার ভোজে অংশগ্রহণ করলাম। মুসলিম ভাইদের সঙ্গে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম রাষ্ট্র ও মানুষের সব কিছু যেন ভালো হয়। …আমি সব সময় সেখানে ছিলাম। পবিত্র রমজানে মুসলিম ভাইদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম।’
দেবাংশু একেবারে সরাসরি আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নানা সময় শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে মুসলিম তোষনকারী বলে বার বার কটাক্ষ করেন। এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকেই পালটা দিলেন দেবাংশু। তবে এবার শুভেন্দু এনিয়ে পালটা কী জবাব দেন সেটাই দেখার।
এদিকে এর আগে জেনে নিন শুভেন্দু অধিকারী বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী সম্পর্কে কী বলেছিলেন?
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে তিনি বিজেপিতে।তবে তার আগে তৃণমূলের একেবারে শীর্ষস্তরে ছিলেন তিনি। দলের অন্দরে তাঁর কদর কিছু কম ছিল না। তবে সেসব ছেড়ে তিনি বিজেপিতে আসেন।কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি? তৃণমূল কি তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল নাকি তিনি স্বেচ্ছায় তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন?
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতে হিন্দু সম্মেলনে তার ব্যাখা দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু আমি ওই দলে থাকতে চাইনি। তার অনেকগুলো কারণ ছিল। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল তৃণমূলের তুষ্টিকরণ, তোষণের রাজনীতি।
তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে আক্রান্ত, নিপীড়িত হিন্দুদের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত।
শুভেন্দু বলেছিলেন, বর্তমান শাসকদলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলাম। প্রশাসনিক ও দলগতভাবে। তারা আমায় তাড়ায়নি। তারা আমায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে শেষদিন পর্যন্ত। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমি ওই দলকে পরিত্যাগ করেছি। তার মধ্যে বড় কারণ হল তুষ্টিকরণ। তোষণের রাজনীতি। বিরোধিতা করার জন্য। এপার বাংলার হিন্দুরা ভালো থাকতে পারি না। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তবে ঠিক থাকতে পারব না।