‘‌মোথাবাড়ি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক’‌

Spread the love

মোথাবাড়ির গোষ্ঠী সংঘর্ষ এখন রাজ্য–রাজনীতির মুখ্য ইস্যু হয়ে উঠেছে। এখানে পুলিশ কড়া নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে রেখেছে। এই আবহে মালদার মোথাবাড়ি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি তুললেন মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। আর তাই মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। এমনকী প্রয়োজনে রুট মার্চ জরুরী বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন ইশা খান চৌধুরী। দ্রুত যাতে এই এলাকায় শান্তি ফিরে আসে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জিও প্রশাসনের কাছে করেছেন এই কংগ্রেস সাংসদ।

ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখানে গিয়ে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডে আটকে পড়েন। তাই রাস্তায় বসে পুলিশকে তিতুমিরের সঙ্গে তুলনা করেন। কড়া আক্রমণ করেন পুলিশকে। আর জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে প্রশাসনের কাছে। শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি তুলেছে বামেরা। আজ, রবিবার মিছিলেরও ডাক দেন বামফ্রন্টের মালদার জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র। ইদ এবং রামনবমীর সময় এমন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ে সোচ্চার হয় বামেরাও। এবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বামফ্রন্ট।

কংগ্রেস সাংসদ হঠাৎ কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুললেন তা নিয়ে অবাক অনেকেই। এই মোথাবাড়ির ঘটনা নিয়ে সিপিএমের মালদা জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে মালদায় কিছু অনভিপ্রেত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে চলেছে। যা শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করছে। সামনেই দু’টি বড় উৎসব আছে, ঈদ ও রামনবমী। তাই উৎসবে জেলার মানুষ যাতে যোগ দিতে পারেন তার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি এবং ঐক্য বজায় রাখতে এগিয়ে আসতে হবে।’ যদিও কংগ্রেস সাংসদের দাবি এখনও মান্যতা পায়নি।

গত বুধবার একটি ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে মোথাবাড়ি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরে আহত হন অনেকে। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেখানে আজ, রবিবার মোথাবাড়িতে যাওয়ার আগে সাদুল্লাপুরে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumder)। আর বাধার মুখে পড়েই পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ তাদের দ্বিতীয় শক্তপোক্ত উঁচু বাঁশের ব্যারিকেডের সামনে আটকে দেয়। তখন প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা–কর্মীরা। টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। আর আগামী ১১ এপ্রিল জেলা প্রশাসন ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেন সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *