সাইবার প্রতারণার কায়দা ক্রমশ বদলে ফেলছে প্রতারকরা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে সোশ্য়াল মিডিয়ায় এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই সাইবার প্রতারকদের সম্পর্কে সতর্ক করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির বানারহাট থানার আইসি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিরাজ মুখোপাধ্য়ায় ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি। সতর্ক না হলেও বড় বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধান!
আসলে ওটিপি শেয়ার না করলেও ফোন হ্যাক হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে আপনার হোয়াটস অ্য়াকাউন্ট, গুগল অ্য়াকাউন্ট, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউপিআই অ্যাকাউন্ট হ্য়াক হতে পারে। সিম কার্ডও হ্যাক হতে পারে। ওটিপির মাধ্য়মে হ্যাক হতে পারে। আর যে ওটিপি আপনি শেয়ার করেননি তবুও হ্য়াক হতে পারে কীভাবে?
পুলিশ জানিয়েছে, কল মার্জিং স্ক্যাম। এটা সম্প্রতি সাইবার অপরাধীদের নতুন ধরন। যাদের সম্পর্কে অপরাধীরা কিছু তথ্য জেনে নিয়েছে তাদেরই টার্গেট করছে ওরা। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি সাধারণ মানুষ। আপনার তথ্য় কীভাবে অপরাধীদের কাছে থাকবে? তবে পুলিশ বলছে তাদের কাছে আপনার তথ্য় থাকাটাই স্বাভাবিক। আপনি ডিজিটাল দুনিয়ায় কী খাচ্ছেন, কোন ট্রেনে যাচ্ছেন, কোন বাসে যাচ্ছেন, কী শপিং করছেন, কী পেমেন্ট করছেন সব জেনে যাচ্ছে ওরা। আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ নেটে কেউ যেন লিখে চলেছে। এই তথ্যগুলি অতি অল্প দামে কিনতে পাওয়া যায়।
কীভাবে প্রতারণা হয়?
পুলিশ বলছে, হয়তো আপনি একটি কর্মপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। আপনার কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি চাকরির জন্য় অনুরোধ করে। এমন সময় একজন আপনাকে ফোন করে জানাল আপনার নম্বর ক বাবু দিয়েছেন। ক বাবু আপনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক। আপনি তার কথা ফেলতে পারবেন না। এরপর দেখলেন আপনার নম্বরে অজানা নম্বর থেকে কল আসছে। অপর প্রান্তের ওই ব্যক্তি বলবেন ক বাবু ফোন করেছেন। কনফারেন্সে নিন। এরপর ফোন ধরলেন আপনাকে এরপর একটি ওটিপি বলা হচ্ছে। ফোন মারফৎ নিচ্ছে ওটিপি। তার আগেই কনফারেন্স কলে যুক্ত আছে অপরাধী। চেনা ব্যক্তি বলেও আপনাকে কেউ ফোন করতে পারে। সেক্ষেত্রেও যাচাই করে দেখে নিন। এআই দিয়ে সব করা যায়। যাচাই করে নেবেন। অজানা, অচেনা নম্বরের সঙ্গে কনফারেন্স কলে যাবেন না। আপনার ইউপিআইয়ের লিমিট বেঁধে দিন। দু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অপশন অ্যাক্টিভেট করে রাখুন। বিপদে পড়লে ফোন করুন ১৯৩০ নম্বরে। বলছে জেলা পুলিশ।