শনিবার বিকেল থেকেই বাতাসে কালো ছাই। নেমে আসছে ছাদে, কার্নিশে, ঘরের জানালা খোলা থাকলে ঢুকে পড়ছে ঘরেও। শহরের উপকণ্ঠে সম্প্রতি এমন কালো ছাইয়ের জেরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বারাসত, মধ্যমগ্রামে শনিবার বিকেল থেকেই এই কালো ছাইয়ের উৎপাত শুরু হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই দিন বিকেলেই ছিল সূর্যগ্রহণ। যা নিয়ে অনেকেই ভীত, সন্ত্রস্ত ছিলেন। জোড়়া ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে আতঙ্ক। নানা গুজব ও কুসংস্কার ছড়াতে শুরু করেছিল। অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কালো ছাইয়ের আসল উৎপত্তি জানার পর।
কেন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কালো ছাই?
মধ্যমগ্রাম ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লাগার কারণেই তীব্র পরিমাণে ধোঁয়া উৎপন্ন হতে শুরু করে। এই ধোঁয়ার সঙ্গে বাতাসে উর্ধ্বগামী হতে থাকে কালো ছাই। পরে সেই ছাই ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। এখানেই আগুন লাগার পর কালো ছাই আতঙ্ক শুরু হয়। স্থানীয়েরা খবর দেন কাউন্সিলর ও পৌরসভায়। সেখান থেকে দুটো দমকল গাড়ি আগুন নেভানোর জন্য ছুটে আসে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
কীভাবে লাগল আগুন?
কীভাবে, কেন আগুন লাগল এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে, সেই কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা রয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে কালো ছাইয়ের আতঙ্ক ছাড়াও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তীব্র কালো ধোঁয়ার জেরে আশেপাশের শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের কাশি ও অন্যান্য সমস্যা দিতে থাকে। শনিবার সারা রাত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলেছে। দমকলের ৮ ইঞ্জিন এই কাজে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। বেশ কিছু জায়গায় ছোট ছোট পকেটে আগুন এখনও জ্বলছে। উপর উপর আগুন নিভলেও ভিতরে আগুন জ্বলন্ত অবস্থাতেই রয়েছে বলে অনুমান অনেকের।