‘‌লাঠি দিয়ে মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া উচিত ছিল’‌

Spread the love

কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরেই সংঘর্ষ ঘটে শাসক–বিরোধী দলের মধ্যে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। খোদ বিধায়ক অখিল গিরিকে সামনে আসতে দেখা যায়। বিজেপি কর্মীরা যেমন আক্রমণ করেছিলেন তেমনই পাল্টা জবাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। ফলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা এলাকা। যদিও দিনের শেষে দেখা যায়, বিজেপি নিজেদের গড়েই শূন্য। আর তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। এই পরাজয় বিজেপি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই আজ, রবিবার বেলাগাম আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরিকে লাঠিপেটার নিদান দিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।

রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখন তাঁর সামনে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে সংঘর্ষ এবং ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর তখনই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌অখিল গিরি গতকাল গুন্ডামি করেছেন। অখিলকে মারেনি কেন, ওঁকে মেরে বের করে দেওয়া উচিত ছিল। সমস্ত ভোটেই অশান্তির অ্যাজেন্ডা তৃণমূল কংগ্রেসের। একজন বিধায়ক ভোটকেন্দ্রে অশান্তি করলে চুপ করে থাকবে লোকে? লাঠি দিয়ে মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া উচিত ছিল।’‌ দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য এখন বিতর্ক তৈরি করেছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে, পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা।

কদিন আগেও দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এবং কৃষ্ণনগরে মহিলাদের সম্পর্কে খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন। তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। কাঁথি কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন সমবায় ব্যাঙ্কের ১১টি কেন্দ্রে গতকাল ভোট হয়। ৭৮টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই ১৮টি আসনে জিতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং আর ৬০ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। এই ভোটকে নিয়েই কাঁথির জাতীয় বিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রামনগর কলেজ ক্যম্পাসও। সেখানেই আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

এরপর সন্ধ্যে নামতেই গণনার পর ফলাফল সামনে আসে। তখন দেখা যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই ধরাশায়ী বিজেপি। খাতাই খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সেখানে অকাল হোলি খেলা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের। সবকটি আসনে জেতে ঘাসফুল শিবির। নিজেদের গড়েই এমন পরাজয় মেনে নিতে পারেননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাই লাঠি দিয়ে মারার নিদান দিলেন তিনি। অখিল গিরি বলেছেন, ‘‌পুলিশের লোকই আমার গায়ে হাত তুলেছে। জেরক্স কপি নিয়ে এসেছে বলে ভোট দিতে দিচ্ছে না। ভোটারদের বারবার হেনস্তা করা হয়েছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *