মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা প্রদেশে একটি বিমান ভেঙে পড়ল বিল্ডিংয়ে। এর জেরে বিমানে থাকা সকল যাত্রী প্রাণ হারালেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে যে বাড়িটির ওপরে বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেটিতে আগুন ধরে যায়। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে,দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি ছিল সোকাটা টিবিএম৭। সেই বিমানটি ছোট। বিমানে যাত্রী ছিলেন ৩ জন। দুর্ঘটনার জেরে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি আনোকা কাউন্টি ব্লেইন বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় ২৯ মার্চ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিমানটি ভেঙে পড়ে মিনেসোটার সেই বাড়িটির ওপরে। এই দুর্ঘটনার পরে ব্রুকলিন পার্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান শন কনওয়ে বলেন, যাত্রীদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে বাড়ির কোনও বাসিন্দা প্রাণ হারাননি। এদিকে দুর্ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, গাছের সারির পিছন থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সাইরেন বাজছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকার আকাশ। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তিনটি দমকলের ইঞ্জিন। বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ ঘটনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমার দল স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছি। দমকল বাহিনীর যারা সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।’ এদিকে এই দুর্ঘটনা কেন হল, তা নিয়ে তদন্ত করবে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড। এতে সহযোগিতা করবে এফএএ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করতে পৌঁছেছেন এনটিএসবি অফিসাররা। এই বিমানটির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে যাওয়া হবে অন্যত্র। সেখানে খতিয়ে দেখা হবে এর যন্ত্রাংশ। জানার চেষ্টা হবে, কেন বিমানটি ভেঙে পড়ে।
এর আগে জানুয়ারির শেষ লগ্নে একটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মাঝআকাশে সংঘর্ষ হয়েছিল আমেরিকার সামরিক হেলিকপ্টারের। সেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ওয়াশিংটন ডিসি-তে। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৭ জন। মার্কিন ইতিহাসে ২০০১ সাল থেকে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল সেটি। এছাড়াও ৩১ জানুয়ারি আরও একটি দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল আমেরিকা। এক শিশু রোগী বহনকারী মেডিক্যাল বিমান ফিলাডেলফিয়ায় ভেঙে পড়েছিল বেশ কিছু বাড়িঘরের ওপরে। এর জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কিছু বাড়িঘর। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। তাছাড়া আরও ১৯ জন আহত হয়েছিলেন।