BJP leader on Mamata’s Red Road Speech। ‘প্রতি বছর মমতাকে খিলাফত কমিটির মঞ্চে দেখা যায়

Spread the love

প্রতি বছরের মতো এবারও রেড রোডে ইদের নমাজের মঞ্চে হাজির থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই সঙ্গে রাম-বামকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। এরই মাঝে রেড রোডে মমতার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা খিলাফত কমিটির মঞ্চে দেখা যায়। কিন্তু এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কী?’

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতা ১০ মিনিটের একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন। তারই সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কলকাতা খিলাফত কমিটি, খেলাফত আন্দোলন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা খিলাফত কমিটির মঞ্চে দেখা যায়। কিন্তু এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কী? এটি ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং খলিফার শাসন (ISLAMIC RULE) রক্ষার জন্য ভারতীয় মুসলমানদের আন্দোলন। খেলাফত আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪) শুরু হয়েছিল ব্রিটিশদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে, যাতে অটোমান সাম্রাজ্যের খলিফার ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকে। কিন্তু এই আন্দোলনের ফলে ভারতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তীব্র হয় এবং এর চরম পরিণতি ছিল ১৯২১ সালের মালাবার হিন্দু গণহত্যা।’

এরপর তরুণজ্যোতি আরও লেখেন, ‘কলকাতা খিলাফত কমিটি গঠিত হয়েছিল এই খেলাফত আন্দোলনের অংশ হিসেবে। এটির মূল আদর্শ ছিল একটি আন্তর্জাতিক ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, যা ভারতীয় রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। প্রশ্ন হল – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বারবার এই মঞ্চ ব্যবহার করেন?তিনি কি শুধুই রাজনৈতিক সমর্থন চাইছেন, নাকি দীর্ঘমেয়াদে একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন?’

বিজেপি নেতা নিজের পোস্টে বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে তিনি একই মঞ্চ থেকে NRC বিরোধিতা করেন, মুসলিম ঐক্যের ডাক দেন, এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রার্থনার আহ্বান জানান—যা অত্যন্ত স্পষ্ট বার্তা বহন করে। ইতিহাস বলে, যখন রাজনীতি ও ধর্ম একত্রিত হয়, তখন সমাজে বিভাজন আরও গভীর হয়। এখন প্রশ্ন—পশ্চিমবঙ্গ কোন পথে যাচ্ছে?’

এদিকে আজ রেড রোডে ইদের নমাজের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে আজ মমতা বলেন, ‘আপনাদের সাথে গোটা সরকার আছে। আপনারা এটা ভাববেন না যে আপনাদের সঙ্গে কেউ কিছু করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা এটা ভাববেন না যে আপনারা একা। আমরা সবাই সবরকমভাবে আপনাদের সাথে আছি। আপনারা কেউ ভাববেন না কোথাও কেউ বলল এই নিষেধাজ্ঞা আপনাদের মেনে চলতে হবে… আমারে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কি হিন্দু? আমি বলেছি, আমি হিন্দু, আমি মুসলিম, আমি শিখ, আমি খ্রিস্টান, আমি ভারতীয়। তুমি কী করার ক্ষমতা আছে?’ মমতা আরও বলেন, ‘এরা কী চায়? ডিভাইড অ্যান্ড রুল চায়? আমি চাই না। আমার জীবন দেশের জন্য উৎসর্গিত। সঙ্গে আমার জীবন সমস্ত ধর্ম – জাতির জন্য, সমস্ত সম্প্রদায় সমস্ত পরিবারের জন্য। আপনারা ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *