এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত এক ম্যাচেও না জেতা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ল কেকেআর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দীপক চাহার, ট্রেন্ট বোল্টদের সামনে বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই করুণ অবস্থার জেরে ব্যাটিংয়ে আনা হল মণিশ পাণ্ডেকেও।
প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসেই সুনীল নারিনকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে পাঠান ট্রেন্ট বোল্ট। পরের ওভারের শুরুতেই বোলিং করতে এসে প্রথম বলেই কুইন্টন ডি কক-কে আউট করেন পেসার দীপক চাহার। তাতেই কার্যত চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স, এমনিতেও এই মাঠে কেকেআরের ট্র্যাক রেকর্ড তেমন ভালো নয়।
আজিঙ্কা রাহানে এবং অংকৃষ রঘুবংশী একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও অশ্বনি কুমারের বোলিংয়ে তিলক বর্মার হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরলেন নাইটদের অধিনায়ক রাহানে, করলেন মাত্র ১১ রান। এরপর মাঠে নামলেন প্রায় ২৪ কোটি টাকায় এবারে যাকে দলে নিয়েছে নাইটরা, সেই বেঙ্কটেশ আইয়ার।
৪১ রানেই ৪ উইকেটের পতন
কিন্তু মুম্বই বোলারদের সামনে তাঁর ব্যাট কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না। ৯ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে দীপক চাহারের বোলিংয়ে উইকেটের পিছনে রায়ান রিকেলটনের হাতে ক্যাচ তুলে নাইটদের আরও বিপদে ফেলে মাঠ ছাড়লেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তখন কেকেআরের স্কোর ৫.৪ ওভারে মাত্র ৪১। এরপর আর পাওয়ারপ্লেতে কোনও রান তুলতে পারেনি নাইটরা।
তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এবারের পাওয়ারপ্লেতে
এবারের আইপিএলে এর আগে রাজস্থান ম্যাচেও পাওয়ারপ্লেতে কেকেআর তুলেছিল অত্যন্ত কম রান। গুয়াহাটিতে সেই ম্যাচে নাইট রাইডার্স বিনা উইকেটে ৪০ রান করেছিল, কিন্তু এবার ৪১ রান তাঁরা করল মুম্বইয়ের বিপক্ষে চার উইকেট হারিয়ে। এবারের আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে ওঠা সর্বনিম্ন স্কোর চেন্নাই সুপার কিংসের। আরসিবির বিরুদ্ধে ৬ ওভার শেষে তাঁদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩০। অর্থাৎ এবারের আইপিএলে কেকেআরের এই ৪১ রান, পাওয়ারপ্লের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন।