LSG-র বিরুদ্ধে রান চেজ করতে নেমে জাতীয় দলের সতীর্থকে অপমান হার্দিকের?

Spread the love

লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে জেতা হল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ফের একবার হারের ধাক্কা জর্জরিত এমআই শিবির। গতবার আইপিএল শেষ করেছিল একদম তলানিতে। এবারও চার ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচেই হেরে হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল রয়েছে বটম হাফেই, অর্থাৎ পরের দিকের ম্যাচগুলো মাস্ট উইন হয়ে যাচ্ছে তাঁদের।

লখনউ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে নমন ধীর এবং সূর্যকুমার যাদবের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পর মনে হচ্ছিল ম্যাচ মুম্বইয়েরই হাতের মুঠোয় রয়েছে। কিন্তু স্লগ ওভারে সময় যতই গড়াল দেখা গেল অন্য চিত্র, আসতে আসতে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেল এমআইয়ের। শেষ পর্যন্ত ১২ রানে ম্যাচ জিতল এলএসজি। এর পিছনে অবশ্য শেষদিকে এলএসজি বোলারদের কৃতিত্ব রয়েছে। শার্দুল ঠাকুর এবং আবেশ খান শেষ দুই ওভারে দিলেন মাত্র ১৬ রান।

তিলককে সাজঘরে পাঠিয়ে আনা হয় স্যান্টনারকে

ম্যাচের শেষদিকে কিছুটা অবাক করার সিদ্ধান্তই নিতে দেখা যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম ম্যানেজমেন্টকে। নজিরবিহীনভাবেই রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে সাজঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় তিলক বর্মাকে, কারণ তিনি ২৩ বলে ২৫ রানে খেলছিলেন, অর্থাৎ তাঁর স্ট্রাইক রেট টি২০ সুলভ ছিল না। যদিও এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া নিজে শেষ ওভারে পাঁচ বল খেললেও করলেন মাত্র ৯ রান। ১৯তম ওভারেও তিনটি বল খেলে হার্দিক করেন ৩ রান। যদিও তাঁর মোট রান সংখ্যা ছিল এদিনের ম্যাচে ১৬ বলে ২৮।

১০-১২ রান বেশি দিয়েছে বোলাররা

ম্যাচ শেষে হতাশ মুম্বইয় অধিনায়ক জানালেন, দলের হারের কারণ। বললেন, ‘ খারাপ লাগছে ম্যাচ হেরে যাওয়ায়, তবে সত্যি কথা বলতে কি। আমার মনে হয় আমরা এই পিচে ১০-১২ রান বেশি দিয়েছি। তাই শেষদিকে ওই রান আমরা কম করেছি। আমি নিজের বোলিং সবসময়ই উপভোগ করি। আমার কাছে খুব বেশি বিকল্প ছিল না, আমি শুধুই পিচকে রিড করে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। আমি কখনই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি না, বরং ব্যাটারদের ভুল করার অপেক্ষায় থাকি, আজকেও সেটাই করেছি’।

তিলক বড় শট খেলতে পারছিল না

ম্যাচ শেষে হার্দিক পাণ্ডিয়া জানালেন কেন হঠাৎ করেই তাঁরা তিলককে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা ব্যাটিং হিসেবে আজ রান তাড়া করতে পারিনি, তবে দল হিসেবে আমরা হারি-জিতি। এর দায়িত্ব নিচ্ছি। আমরা শেষদিকে কিছু হিট চাইছিলাম, ও পারছিল না মারতে। ক্রিকেটে এমন দিন কিছু থাকে, যখন চেষ্টা করলেও সফল হওয়া যায় না। আমি বিষয়টা খুব সাধারণ রাখার চেষ্টা করি, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে সবাইকে। ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভালো বোলিং করতে হবে। আর ব্যাটিংয়ের সময় সুযোগ নিতে হবে। এটা অনেক দীর্ঘ প্রতিযোগিতা, তাই কয়েকটা ম্যাচে জিতলেই ফের ছন্দ ফিরে পাবে দল ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *