আঙুলের চোটের জন্য চলতি আইপিএলের প্রথম তিন ম্যাচে কিপিং করতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন। যদিও ব্যাট করতে অসুবিধা ছিল না তাঁর। তাই ফিল্ডিং না করে শুধুমাত্র ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে নামেন তিনি। সেই কারণেই আইপিএল ২০২৫-এর প্রথম তিন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দেন রিয়ান পরাগ।
অবশেষে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রাজস্থানের চতুর্থ লিগ ম্যাচে নেতৃত্বে ফেরেন সঞ্জু স্যামসন। রয়্যালসের ক্যাপ্টেন্সির দায়ভার পুনরায় হাতে তুলে নিয়েই দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত নজির গড়েন সঞ্জু। তিনি এক্ষেত্রে ভেঙে দেন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের সর্বকালীন রেকর্ড।
শনিবার মুল্লানপুরে আইপিএল ২০২৫-এর অ্যাওয়ে ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে দাপটের সঙ্গে পরাজিত করে রাজস্থান রয়্যালস। এই জয়ের পরেই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে নেন সঞ্জু। রাজস্থানের ক্যাপ্টেন হিসেবে আইপিএলে সব থেকে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়েন তিনি। অর্থাৎ, ম্যাচ জয়ের নিরিখে রাজস্থানের সব থেকে সফল দলনায়কে পরিণত হন স্য়ামসন।
সঞ্জু এই নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে মোট ৬২টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালস এই নিয়ে মোট ৩২টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। এতদিন রাজস্থানের ক্যাপ্টেন হিসেবে সব থেকে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল শেন ওয়ার্নের। অজি কিংবদন্তির নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালস মোট ৫৫টি ম্যাচে মাঠে নামে। ওয়ার্নের ক্যাপ্টেন্সিতে রয়্যালস মোট ৩১টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। সুতরাং, শনিবার শেন ওয়ার্নের থেকে রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন সঞ্জু।
রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন্সি রেকর্ড
১. সঞ্জু স্যামসন- ৬২ ম্যাচে ৩২টি জয় (জয়ের হার ৫১.৬১ শতাংশ)।
২. শেন ওয়ার্ন- ৫৫ ম্যাচে ৩১টি জয় (জয়ের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ)।
৩. রাহুল দ্রাবিড়- ৪০ ম্যাচে ২৩টি জয় (জয়ের হার ৫৭.৫০ শতাংশ)।
৪. স্টিভ স্মিথ- ২৭ ম্যাচে ১৫টি জয় (জয়ের হার ৫৫.৫৫ শতাংশ)।
৫. অজিঙ্কা রাহানে- ২৪ ম্যাচে ৯টি জয় (জয়ের হার ৩৭.৫০ শতাংশ)।
রাজস্থানের ক্যাপ্টেন হিসেবে ম্যাচ জয়ের নিরিখে সঞ্জু সবার থেকে এগিয়ে। তবে জয়ের শতকরা হারে এখনও বাকিদের টেক্কা দিচ্ছেন রাজস্থানের বর্তমান হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। রাহুলের নেতৃত্বে রাজস্থান মোট ৪০টি ম্যাচে মাঠে নেমেছে। জিতেছে ২৩টি ম্যাচ। অর্থাৎ, দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে রাজস্থানের ম্যাচ জয়ের শতকরা হার ৫৭.৫০। এই নিরিখে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ (৫৫.৫৫ শতাংশ)।