Virginia Beach। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র সৈকত সংঘর্ষ! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু 

Spread the love

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সমুদ্র সৈকতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গেছে, ভার্জিনিয়ার বিচ ওশানফ্রন্টে দুই ব্যক্তির মধ্যে হাতাহাতি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, তারা দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হতে দেখেছেন এবং তারপরে গুলি চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ভার্জিনিয়া বিচ ইএমএস বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।

ভার্জিনিয়া বিচ পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সমুদ্র সৈকতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে তারা। সন্ধ্যা ৭ টা ১১ নাগাদ পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানেই তারা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। তবে অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পাশাপাশি পুলিশ বাসিন্দা এবং পর্যটকদের ওই সমুদ্র সৈকতটি এড়িয়ে চলতে আবেদন করছে। কারণ সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি সমুদ্র সৈকতে কাজ করি। মনে হচ্ছে ১৯ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে আটলান্টিক অ্যাভিনিউ অথবা বোর্ডওয়াকে কিছু একটা ঘটছে।’ এদিকে, ১৭ স্ট্রিট এবং আটলান্টিকের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকার খবর পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যমকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে বহু মানুষের ভিড় ছিল এবং গুলিও চালানো হয়েছে।

তবে ঠিক কি কারণে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি মার্কিন পুলিশ। অন্যদিকে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, ‘মৃতের নাম জোশুয়া। জোশুয়া খুবই মিষ্টি একটা ছেলে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, তাঁর বড় হয়ে ওঠা, জীবনের পরিবর্তনগুলির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। তার উপস্থিতি আনন্দ এনে দিয়েছিল। তার হাসি অবিস্মরণীয় ছিল। ভার্জিনিয়া বিচ পুলিশের এক আধিকারিক জোডি সন্ডার্স বলেন, ‘মানুষ আজ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। এমন কিছু পরিবার আছে যাদের জীবন এখন ধ্বংস হয়ে গেছে।শনিবার মৃতের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রিয়জনরা ফুল, মোমবাতি এবং বেলুন দিয়ে জোশুয়াকে স্মরণ করেছেন। প্রতিবেশীরা বলছেন, সম্প্রতি ২০ বছরের জন্মদিন পালন করেছে জোশুয়া।

সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার ভারতীয় তরুণী এবং তাঁর বাবাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এক আত্মীয়ের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কাজ করতেন গুজরাটের বাসিন্দা ঊর্মি প্যাটেল (২৪) এবং তাঁর বাবা প্রদীপ প্যাটেল (৫৬)। ছ’বছর আগে গুজরাট থেকে তাঁরা ভার্জিনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *