মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সঙ্গে SSC দুর্নীতিতে চাকরিহারাদের বৈঠকের আগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে ছড়াল তুমুল উত্তেজনা। এদিন চাকরিহারাদের একাংশ স্টেডিয়ামে ঢুকতে চাইলে পাস না থাকায় তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই যুবক যুবতীরা। ওদিকে যাদের কাছে পাস আছে তাদের দাবি, নথি খতিয়ে দেখে তবে দেওয়া হয়েছে পাস। যাদের কাছে পাস নেই তারা অযোগ্য। যা মানতে রাজি নন বিক্ষোভকারীরা। ইডেন গার্ডেন্স স্টেশনের সামনে এই নিয়ে পাস থাকা ও না থাকা পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগদান করতে রবিবার থেকে শহিদ মিনার ময়দানে অবস্থান করছিলেন চাকরিহারারা। রবিবার গোটা দিন ধরে চলে পাস বিতরণ। অভিযোগ, পাসের দাবিতে রাতে তাদের ওপর হামলা চালায় কিছু যুবক। সকালে পরিস্থিতি আরও বেলাগাম হয়ে যায়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেন পাস না থাকা কয়েকজন। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পাস যারা বিতরণ করেছেন তাদের দাবি, যাদের কাছে পাস নেই তারা চিহ্নিত অযোগ্য। ওদিকে সেই অভিযোগ মানতে রাজি নন ওই যুবকেরা।
পুলিশি বাধার মুখে পড়ে এক যুবক বলেন, পাস দেওয়ার মালিক কে সেটাই এখনও বলতে পারল না পুলিশ – প্রশাসন। এই পাস কে জারি করেছে তাও স্পষ্ট নয়। একটি পাস তুলে ধরে তিনি বলেন, এই পাসে কারও নাম নেই। পাস কে জারি করেছে তা স্পষ্ট নয়। এভাবে ফের দুর্নীতি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে বচসার জেরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। এক সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এর পর ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
ওদিকে পাস যারা বিতরণ করেছেন তাঁদের দাবি, SSCর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওএমআর শিট দেখে পাস বিতরণ করা হয়েছে। যাদের কাছে পাস নেই তারা অযোগ্য। যদিও বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, তারা একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষক ছিলেন। একাদশ – দ্বাদশের নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনও OMR কোনও দিন SSC প্রকাশ করেনি।
ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগদানের পাস বিক্রি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাম নেতা ফুয়াদ হালিম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যোগ্যদের পাস বিক্রি করে কিছু টাকা কামাই করে নিল। একই অভিযোগ করেছেন পাস না পাওয়া কিছু চাকরিহারাও।