সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে। এমনই দাব করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবর বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা। সঙ্গে তিনি এই দুর্নীতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার জড়িত বলেও দাবি করেন।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজারজনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিতরণ হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।’
শুভেন্দুবাবুর কথায়, ‘৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ – ঔদ্ধত্য না রেখে স্বীকার করত তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে ২০০ কোটি করের টাকা খরচ করেছে এই সাড়ে পাঁচ হাজার অযোগ্যতে বাঁচানোর জন্য। সেই টাকা ভাইপো তুলেছে। সেটা বলে দিয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। যে সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এর পর বিধানসভার বাইরে SSC চাকরি বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতাসহ বিজেপি বিধায়করা। ‘মমতা চোর’ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা।