Subhajit-Indian Idol-Shreya। শুভজিতকে ‘ভাই’ ডাকলেন শ্রেয়া

Spread the love

রবিবার ৬ এপ্রিল শেষ হল ইন্ডিয়ান আইডলের দীর্ঘ সফর। আর এবারে গানের রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে মুখে হাসি ফুটেছে বাঙালিদের। কারণ এত বছর পর, ১৫ নম্বর সিজনে এসে, ট্রফি এসেছে বাংলায়। প্রথম স্থানে বাংলার মেয়ে মানসী ঘোষ। তবে একা মানসী নয়, সঙ্গে খড়গপুরের ছেলে শুভজিৎ চক্রবর্তী এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে।

ফাইনালে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে হাজির ছিলেন শুভজিতের মা ও বাবা। সঙ্গে ছিলেন প্রেমিকা সুকন্যা এবং ভাই সুমন। দেখ যায়, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেলেন শুভজিতের বাবা। যিনি নিজেও একজন গায়ক। শুধু তাই নয়, ছেলের গানের প্রথম শিক্ষকও।

বাবা কৃষ্ণদাস চক্রবর্তী মাইক হাতে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও, আবেগে বারবারবুজে আসছিল গলা। ‘আমি কী বলব। খুব খুশি আমি… কিছু বলতেই পারব না আজ আনন্দে। এর থেকেও বড় আনন্দের, আমার ঘর তৈরি হচ্ছে। আমার ছেলে ইন্ডিয়ান আইডলে দাঁড়িয়ে। ফাইনালিস্ট। খুব খুশি…’, নিজের কথা আর শেষ করতে পারেননি কৃষ্ণদাস। বাবার কান্না দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেন শুভজিৎ।

হিন্দিতে অতটা সরগর নন শুভজিতের মা। তাই নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন তিনি বাংলাতেই, বিচারকের আসনে থাকা বাঙালি কন্যে, শ্রেয়া ঘোষালের কাছে। বললেন, ‘শ্রেয়া ম্যাম আপনি আমার ছেলেকে অনেক আদর, অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। বড় দিদির মতো পাশে থেকেছেন। এই জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।’

এতে শ্রেয়া জবাব দেন, ‘আর আমি থাকব, সারা জীবন ওর সঙ্গে থাকব। এই যে সম্পর্ক আমাদের তৈরি হয়েছে, ও থাকবে সবসময়। আমি ওর বন্ধু, ওর বড় দিদি থাকব সারা জীবন। সে গোটা জীবনে, ও যখনই সমস্যায় পড়বে, আমার কাছে আসবে। আসবি তো শুভ?’ এতে ‘পানওয়ালা’ও কোনোরকমে শুধু বলতে পারেন, ‘আসব’।

দেখা যায়, শুধু শুভজিৎ নয়, তাঁর বাবা কৃষ্ণদাসের জন্যও নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেন দেশের অন্যতম সেরা গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। বলেন, ‘আগের সপ্তাহে ওর (শুভজিতের) সঙ্গে বাংলা লোকসংগীত গাওয়া থেকে আমি চেয়েও নিজেকে আটকাতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি গাওয়ার। শুভর বাবা যে শিক্ষা ওকে দিয়েছেন, উনি তো শুধু শুভর বাবা নন, শুভর গুরু। আমি সেটার সঙ্গে গাইতে চেয়েছি্লাম। আমিও অনেক কিছু শিখেছি শুভর থেকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *