শনিবার সকলকে চমকে ফেসবুকে ডিভোর্সের ঘোষণা করেন পৃথা চক্রবর্তী। প্রায় ১০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক তাঁর সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর। কদিন আগেও দুজন জুটিতে ফোটো দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই এমন পোস্ট দেখে চমকে যান সকলে। যদিও, আলাদা হওয়ার খবর রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন চিরসখা-র ‘স্বতন্ত্র’ সুদীপ! জানিয়েছেন তিনি, শুধুমাত্র একটু মস্করা করেছিলেন পৃথা সোশ্যাল মিডিয়াতে। এতটা যে বাড়াবাড়ি হবে, তিনি নাকি বুঝতেই পারেননি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট আসছে পৃথার তরফে। ডিভোর্সের ঘোষণা করা পোস্টটি মুছে দিলেও, অন্য আরেকটি পোস্ট লেখা, ‘যা দেখা যায়, তা হয় না। আর যা হয়, সেটা দেখা যায় না!’ অন্য আরেক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘কিছু সময়, তোমার উচিত ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করা। আর বলা, ‘হ্যাঁ আমি এটা করেছি, তাতে কী হয়েছে’?’
দেখা গেল, দুটি পোস্টেই নেটপাড়া রীতিমতো তুলোধনা করেছে, সুদীপের স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের মতো একটা ইস্যু নিয়ে মস্করা করায়। তবে সেভাবে কোনো মন্তব্যেই জবাব দেননি।
ডিভোর্স নিয়ে সুদীপের বক্তব্য:
এর আগে পৃথার ডিভোর্সের ঘোষণা নিয়ে সুদীপ বলেন, ‘চারিদিকে এত ডিভোর্সের খবর, পৃথার তাই হঠাৎ মনে হয়, যদি এইরকম কোনও নিউজ (খবর) আমাদের নিয়ে হয়, তাহলে কী হবে! ও ব্যাপারটা অতটা ভেবে দেখেনি। বোঝেনি যে এটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা বিশাল রটনা তৈরি হবে, মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর আমিও সারাদিন শ্যুটিংয়ের মধ্যে ছিলাম তাই জানতাম না। হঠাৎ করেই দেখলাম আমার কাছে প্রচুর মিডিয়ার বন্ধুদের ফোন আসছে। আমার কাছের বন্ধুদের ফোন আসছে। আমি তাই কাজের মধ্যে ফোন বন্ধ করে রেখেছিলাম। বুঝতে পারিনি। আর ও না বুঝেই পোস্ট করেছিল, এটা আসলে একটা প্র্যাঙ্ক।’
সুদীপের বৈবাহিক জীবন:
২০০৫ সালে অভিনয় প্রশিক্ষক দামিনী বেণী বসুকে বিয়ে করেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়, চিনি। তবে ২০১৩ সালে আলাদা হয়ে যান তাঁরা। বেণী বা সুদীপ, দুজনের কেউই ডিভোর্স নিয়ে সেভাবে কখনো কথা বলেননি।
এর বছরখানেক পর, বয়সে ২৫ বছরের ছোট পৃথার প্রেমে পড়েন সুদীপ। দুজনে বিয়ে করেন ২০১৫ সালে। তাঁদের দুই ছেলে ঋদ্ধি ও বালি। তবে ডিভোর্সের পরেও, মেয়ে চিনির কথা ভেবে, ভালো সম্পর্কে সুদীপ ও বেণীর। এমনকী, স্বামীর প্রাক্তন পরিবারর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন পৃথাও। অন্তত কিছুদিন আগে অবধিও সব স্বাভাবিক ছিল। পৃথা-সুদীপের ভক্তরা চাইছেন, সত্যি যেন সবটা মস্করা হয়। আর ঝামেলা যদি হয়েও থাকে, তাহলে যেন দুজনে তা মিটিয়ে নেন।