India Pak Border। পাক সীমান্তের নজরদারিতে এবার কী করতে চলেছে ভারত? 

Spread the love

কিছুদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করা জঙ্গিদের সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই চলে পুলিশ বাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের এনকাউন্টারে ২ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। যে ঘটনাস্থলে এই রুদ্ধশ্বাস গুলি চালনা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতের সীমানায় ৪ কিলোমিটার ভিতরে। কাঠুয়ার সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে কয়েকদিন। সোমবার সেই কাঠুয়াতেই এক অনুষ্ঠান থেকে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ ঘিরে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)।

সোমবার কাঠুয়ায় সেনার সীমান্ত আউটপোস্ট ‘বিনয়’র কাছে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে বিএসএফর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাঠুয়ার হিরানগর সেক্টরের এক অনুষ্ঠানে বিএসএফের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় অমিত শাহ জানিয়ে দেন, ‘আমরা সীমান্তে মোতায়েন করছি ইলেকট্রনিক সার্ভিলেন্স সিস্টেম। যদি কিছু ঘটে (শত্রুর তরফে) তাহলে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দিতে পারবেন। ’ বহু রিপোর্টের দাবি, মূলত, অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এবার সীমান্তে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক নজরদারি সংক্রান্ত সিস্টেম মোতায়েন করতে চলেছে দিল্লি। তিনি জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গপথগুলি চিনে নিয়ে তা নষ্ট করে দিতেও প্রযুক্তিগত কিছু সামগ্রী মোতায়েন হবে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে, কাশ্মীরের বুকে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিদের প্রবেশে এই সুড়ঙ্গ একটি বড় ইস্যু। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা অনুযায়ী, নয়া প্রযুক্তিগত সামগ্রী এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করবে।

এদিনের অনুষ্ঠানে, ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বিএসএফের অবদানের কথা তুলে ধরেন অমিত শাহ। তিনি বিএসএফের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। প্রশংসার সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন,’ ঠান্ডা, বৃষ্টি, খুব গরমেও যখন তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তখন আপনারাই ৩৬৫ দিন আর ২৪ ঘণ্টা ফরোয়ার্ড পোস্টে থাকেন, শত্রুর গতিবিধির দিকে নজর রেখে।’ প্রসঙ্গত পাকিস্তানের জইশ-এ-মহম্মদের ৫ জঙ্গি সদ্য কাঠুয়ায় অনুপ্রবেশ করেছিল। তাদের হঠাতে একচুল জমি না ছেড়ে লড়াই করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলে। শেষে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। শহিদ হন ৪ পুলিশকর্মী। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে এই কাঠুয়া জেলা জঙ্গিদের আস্তানা গাড়তে ভৌগলিক সুবিধা দেয়। প্রসঙ্গত, এলাকার গভীর জঙ্গল এদের গা ঢাকা দিতেও সাহায্য করে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *