হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন টিএমসির মহিলা এমপি

Spread the love

তূণমূলের অন্দরে লড়াইটা নতুন কিছু নয়। একেবারে এবেলা ওবেলা ঘটে।মারামারি খুনোখুনিও হয়। আবার এক টেবিলে বসে পড়েন দুজন। তবে এবার একেবারে দুই সাংসদের মধ্য়ে তীব্র দ্বন্দ্ব। আর সেটা এমন জায়গায় গিয়েছে যে এক প্রবীণ সাংসদের আচরণে এক মহিলা সাংসদ এতটাই অসন্তুষ্ট যে তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। আনন্দবাজার ডট কমের খবর অনুসারে বিষয়টি জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেখানে যোগ দেওয়ার আগে দিল্লিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন সাংসদরা। সেখানে এক মহিলা সাংসদ দেখেন স্মারকলিপির যেখানে সই করতে হবে সেখানে তাঁর নাম নেই। এরপর তিনি এনিয়ে প্রশ্ন করেন। তারপর হাতে লিখে দেওয়া হবে এমন কথা বলা হয়।

এরপর নির্বাচন কমিশনের ভবনের কাছেও তার রেশ চলতে থাকে। এই সময় অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক সাংসদের দাবি, নির্বাচন কমিশনে পৌঁছনর পরেও ওঁকে লক্ষ্য করে যাচ্ছেতাই ভাষায় মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন ওই বর্ষীয়ান সাংসদ। তাতে আমার অনেক সহকর্মী তো বটেই এমনকী নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক, সেখানে ডিউটিরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। উনি ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত করছিলেন। সবার সামনে। ওই মহিলা সাংসদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বলেন ওঁকে সামলাতে।

তবে তার রেশ যে তখনই থেমে গিয়েছিল এমনটা নয়।

একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক সাংসদ প্রবীণ এমপিকে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে লিখেছিলেন, দিদি সবাইকে নিয়ে চলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে তাতেও ক্ষান্ত হননি এই প্রবীণ সাংসদ। তিনি এরপর ওই সাংসদকে নানা কটাক্ষ করেন গ্রুপে। এমনকী মহিলা সাংসদকে ইন্টারন্যাশানাল গ্রেট লেডি বলেও কটাক্ষ করেন। এমনকী অশালীন নানা মন্তব্য গ্রুপে করা হয়েছিল বলে খবর। এরপরই রাতে ওই মহিলা সাংসদ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে খবর।

অন্যদিকে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এমনকী নেত্রীর কানেও গোটা বিষয়টি গিয়েছে বলে খবর।

এদিকে এই সময় অনলাইনের প্রতিবেদন অন যে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আবার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দিল্লির পার্টি অফিসে পৌঁছনর পরে ওই মহিলা এমপিই প্রথমে আমার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন। অত্যন্ত খারাপ ভাষায় কথা বলেন। এমনকী আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছলে সেখানে ডিউটিরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে আমাকে অ্যারেস্ট করার ভয় পর্যন্ত দেখান। তখন আমিও রিঅ্যাক্ট করি।

তবে ওই মহিলা সাংসদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *