রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ গোটা মন্ত্রিসভা জেলে যাবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিউমেরারি পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্তে CBI তদন্তের নির্দেশ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে একথা বললেন রাজ্য বিজেপিসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে চাকরিহারাদের সুকান্তবাবুর পরামর্শ, যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছেন তাদের গাছে বেঁধে টাকা আদায় করুন।
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘আদালত জানিয়েছে, সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন তিনি ভুল করেছেন। ভুল নয়, এটা চুরি, দুর্নীতি, পাপ। আগামিকাল যে মামলার শুনানি হচ্ছে তাতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী যে আগামী দিনে আপনি ও আপনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা জেলে যাবেন। ওম প্রকাশ চৌতালার পর দেশের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শিক্ষকের চাকরি বিক্রির জন্য আপনি জেলে যাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগে যোগ্যদেরটা দেখে নিই, তার পর অযোগ্যদেরটা দেখব। আপনার কাছে না কি প্ল্যান বি আছে। প্ল্যান বিটা কী আমাদের একটু খোলসা করে বলুন। প্ল্যান বি-টা কি এই যে তৃণমূল নেতাদের আবার টাকা দিতে হবে তাহলে সবার চাকরি কনফার্ম হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডাহা মিথ্যে কথা বলেছেন। উনি না কি যোগ্য অযোগ্যদের ভাগ করার সময় পাননি। উনি যোগ্য – অযোগ্য আলাদা করার জন্য আড়াই বছর সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু উনি যোগ্য অযোগ্য আলাদা করেননি। উনি সব সময় চেয়েছিলেন পুরো বিষয়টা যেন ঘেঁটে যায়। চাল ও কাঁকড় যেন কোনও ভাবে আলাদা করা না যায়। তাহলে অযোগ্যদের যোগ্যদের ঘাড়ের ওপর দিয়ে পার করে দেওয়া যাবে।’
সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে যোগ্য অযোগ্য ভাগ করে দিতে হবে। আজব দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তো সেই এক্তিয়ার নেই। পরীক্ষা নিয়েছে SSC, সুপারিশ করেছে SSC, যোগ্য – অযোগ্য একমাত্র তারাই ঠিক করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র প্রক্রিয়া ঠিকঠাক হয়েছে কি না সেটা বিচার করতে পারে। একজন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হিসাবে বলছি, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে আপনার সরকার চোর এবং এই চুরির জন্য আপনার ও আপনার মন্ত্রিসভার সদস্যদের জেলে থাকা উচিত। যতদিন এই চোরেরা বসে থাকবে ততদিন এই একই সমস্যা হবে। এবং এটা কলির সন্ধে। একটার পর একটা দুর্নীতি সামনে আসবে। গোড়ায় গলদটা চিনুন। আমরা একটা অযোগ্য লোককে বসিয়ে রেখেছি পশ্চিমবঙ্গের সিংহাসনে। সেজন্য তিনি যোগ্য অযোগ্য বাছতে পারছেন না।’