‘‌মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম, নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল, কারও চাকরি যায়নি’‌

Spread the love

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। আজ, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সেই সমস্যার সমাধান করতে পাঁচটি পরিকল্পনা যে ভাবা আছে সেটা জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা পথ দেখালেন তিনি সকলকে। জীবন থাকতে চাকরি কারও যেতে দেবেন না এবং এটা বলার জন্য যদি তাঁকে জেলেও পাঠানো হয় তিনি তাতে পরোয়া করেন না বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার অন্যান্য রাজ্যের দুর্নীতি নিয়েও তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই চাকরি বিক্রি হওয়া থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি তাঁর আড়ালেই হয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে আবার রাজ্য সরকার যাবে চাকরিহারাদের জন্যও সেটাও আজ ভরা সভা থেকে বাতলে দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই যোগ্যদের দিক নির্দেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌চাকরি বিক্রি হয়েছে, চাকরি চুরি হয়েছে আমি জানিই না। তাও আমাকে খারাপ কথা শুনতে হচ্ছে। কাজ করতে গেলে একটা দুটো ভুল হয়েই যায়। মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা মনে আছে?‌ নিটেও তো কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু কারও চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত চলছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?’‌

২০১৬ সালের এসএসসি’‌র প্যানেল ‘অসাংবিধানিক’, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী। সেটাই আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‌শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সবাইকে অযোগ্য বলার অধিকার কে দিয়েছে?‌ বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে যেন না কাঁদে। প্রত্যেকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াই আমার কমিটমেন্ট। কারও সার্ভিস ব্রেক হবে না। এটা ভাববেন না যে আমরা এই রায় মেনে নিয়েছি। আর আমরা পাঁচটি বিকল্প পরিকল্পনাও করে রেখেছি।‌’‌

সুপ্রিম কোর্ট যদি মানবিক হয় তাহলে একরকম পথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যদি তা না হয় তাহলেও পাঁচটি বিকল্প পথ ভাবা আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজ এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌আপনাদের শোকে আমরা পাথর। আমরা হৃদয়হীন নই। দায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি, পরে নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল। তাতে তো কারও চাকরি যায়নি। বাংলার বেলাতেই শুধু চক্রান্ত? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। সুপ্রিম কোর্টকে বলতে চাই, চাকরি দিতে না পারলে কেড়ে নেবেন না। শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *