Sheikh Hasina Latest Update। বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ কর্মীদের বড় বার্তা হাসিনার

Spread the love

শেখ হাসিনার(Sheikh Hasina) দেশে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। এরই মাঝে সম্প্রতি আবার ব্যাঙ্ককে নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) এবং মহম্মদ ইউনুসের বৈঠকে নাকি হাসিনা প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছিল। এদিকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছে এনসিপি, জামাত। যদিও মাঝে সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নাকি ‘রিফাইন্ড আওয়ামি লিগ’-এর বার্তা দিয়েছিলেন। তবে এত কিছুর মাঝেও আওয়ামি লিগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারি জারি আছে ইউনুসের জমানায়। চলছে অত্যাচার। এই আবহে আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এরই সঙ্গে আওয়ামি লিগ কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমি সব ঘটার বিচার করব। আল্লাহ তাই বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি আসছি।’

এদিকে ফের একবার এদিন ইউনুসকে ‘সুদখোর’, ‘মানবতাবিরোধী’ বলে আখ্যা দেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনুস ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য অত্যাচার চালাচ্ছে। যাঁরা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাঁদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারদের বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।’

এদিকে বিমসটেক বৈঠকের ফাঁকে মোদী-ইউনুস বৈঠকে হাসিনা প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে শফিকুল আলম দাবি করেছেন, ব্যাঙ্ককের বৈঠকে যখন ইউনুসের তরফ থেকে হাসিনা ইস্যুটি উত্থাপন করা হয়েছিল, তখন নাকি মোদীর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। যদিও ভারতের তরফ থেকে এই দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিকে ইউনুস নাকি মোদীর কাছে বলেছিলেন, হাসিনা যেন দিল্লিতে বসে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে না পারেন।

এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের টাকা বাজেয়াপ্ত করে বর্তমানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই নিয়ে ১০ মার্চ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বড় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টাকা মোট ১২৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই অর্থের হদিশ পেয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইউনুসের সরকারের বক্তব্য, হাসিনার জমানায় বাংলাদেশ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। সেই অর্থ দেশে ফেরাতে নকি ইউনুসের সরকার পদক্ষেপ করবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। আর মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই আবহে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। অপরদিকে গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এই সবের মাঝেই নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মোদী সরকার। তবে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যদিও ইউনুস চাইছেন হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে তাঁর বিচার করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *