স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেই খুনের চক্রান্ত করার অভিযোগ স্বামীর

Spread the love

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ করলেন স্বামী। সোমবার গভীর রাতে সোনারপুরের মহিষনগরের ঘটনা। নিহত প্রিয়াঙ্কা গায়েনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁর স্বামী বাপি গায়েনকে।

জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে সোনারপুর থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছি বলে কবুল করে আত্মসমর্পণ করেন বাপি। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী। প্রাণে বাঁচতে তাই স্ত্রীকেই খুন করেছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে বিয়ে হয়েছিল বাপি ও প্রিয়াঙ্কার। তখন তাঁরা ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙায় থাকতেন। বিয়ের পর সোনারপুরের চলে আসেন তাঁরা। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন দম্পতি। সেখানেই ভাড়া থাকতেন সুপ্রকাশ দাস নামে এক যুবক। বাপি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লে প্রিয়াঙ্কা সুপ্রকাশের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি। এমনকী সোনারপুরের বিভিন্ন জায়গায় দু’জনকে দেখা যেত। বিষয়টি জানতে পারলে ভাড়া বাড়ি বদল করে মহিষনগরে চলে যান তাঁরা। কিন্তু তার পরেও সুপ্রকাশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। সেকথা জানতে পারলে বাপির সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়। বাপির দাবি, পরকীয়ায় বাধা সরাতে সুপ্রকাশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। ফোন থেকে সেকথা জেনে ফেলেন তিনি। এর পরই আত্মরক্ষার স্বার্থে স্ত্রীকে খুন করেন তিনি।

বাপিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি খতিয়ে দেখতে সুপ্রকাশের খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা। সত্যিই কি বাপিকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা? না কি স্ত্রীকে খুনের পর আইনের হাত থেকে বাঁচতে তাঁর বিরুদ্ধে পালটা খুনের চক্রান্ত করছেন স্বামী, খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *