বাংলাদেশ নিয়ে সতর্কতা জারি আমেরিকার

Spread the love

একদিকে আমেরিকার থেকে সাহায্য চায় বাংলাদেশ। ইউনুস চিঠি লেখেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট নিয়ে লাফালাফি করে বাংলাদেশিরা। আবার সেই বাংলাদেশিদেরই অনেকে ‘সহ্য করতে পারে না’ আমেরিকাকে। তাদের কাছে ‘আইডল’ হল নিহত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জুড়ে ইজরায়েল বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং মৌলবাদী সংগঠনগুলি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায় তারা। গাজায় নির্বিচারে যে নরহত্যা চলছে, তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন। তবে এরই মাঝে আবার সেখানে দেখা যায় ওসামা দিন লাদেনের পোস্টার হাতে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে ‘পোজ’ দিচ্ছে। সেই ছবি আবার ভাইরাল হয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলকে হারাতে’ বাংলাদেশে তাণ্ডব, জুতো চুরি মৌলবাদীদের, রাতে ঘুম ভাঙল ইউনুসের)

দাবি করা হয়, ছবিতে যে দুই যুবককে লাদেনের পোস্টার হাতে নিয়ে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে, তাদের একজন হেফাজতে ইসমালের নেতা অপরজন ইসলামি ছাত্রশিবিরের সদস্য। এদিকে সেই ছবিতে লাদেনকে উদ্ধৃত করে লেখা আছে, ‘আমেরিকা ততক্ষণ নিরাপদে থাকতে পারবে না, যতক্ষণ না আমরা নিরাপত্তার সঙ্গে প্যালেস্টাইনে বসবাস করতে পারি।’ প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ৯ নভেম্বর লাদেনের নেতৃত্বে আলকায়দা নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় কয়েক হাজার আমেরিকান মারা যান। এরপর লাদেনের খোঁজে আফগানিস্তান যুদ্ধ শুরু করেছিল আমেরিকা। পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেনকে খতম করা হয়েছিল।

এদিকে ইজরায়েল বিরোধী আন্দোলনে যখন বাংলাদেশ উত্তাল, তখন মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে থাার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে দূতাবাস। অকারণে বাইরে ঘুরতে বারণ করা হয়েছে। এরই সঙ্গে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের বড় ধরনের জমায়েত ও বিক্ষোভের স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা দিয়েছে। এদিকে ৭ এপ্রিল বিক্ষোভের আবহে দুপুরের পর দূতাবাসের বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মোতায়েন আছে সেনা। এছাড়াও বিজিবি, সিআইডি, এসবি, গোয়েন্দা সংস্থা সহ বিভিন্ন এজেন্সি মোতায়েন করা হয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের উলটো দিকে পদচারী সেতুর সামনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা ইজরায়েলে হামলার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। সেই বিক্ষোভস্থল থেকে নানা ধরনের স্লোগান উঠতে থাকে। কয়েকজন স্লোগান দেন, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন’। এদিকে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্য়ান্ড সায়েন্সেস, ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজের পড়ুয়ারাও মিছিল করে এসে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশে ক্রমেই মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছিল ইউনুসের সরকার। তবে ৭ এপ্রিলের ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করে দিল, বাংলাদেশ ক্রমশ মৌলবাদের হাইওয়েতে তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *