এসে গেল গৃহপ্রবেশের ধামাকেদার প্রোমো। অন্তত যে মুহূর্তের জন্য অধীরে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। অর্থাৎ আবার এক হবে আদৃত ও শুভলক্ষ্মী। কিছুদিন আগেই দেখানো হয়েছে যে, অ্যাক্সিডেন্টের পর সব স্মৃতি ভুলে গিয়েছে আদৃত। এরপর তাকে আশ্রয় দিয়েছে ডাক্তার মোহনা। অন্য দিকে আবার, শুভলক্ষ্মীর জীবনেও প্রবেশ করে, আদৃতের বিজনেস পার্টনার আকাশ। সে মন দিয়ে বসে শুভলক্ষ্মীকে। বিয়ে করে শুধু শুভলক্ষ্মী নয়, তার ছেলেরও দায়িত্ব নিতে চায়।
আর এতেই বেশ কষ্ট পেয়েছিল দর্শকরা মনে মনে। কারণ, শুভলক্ষ্মী আর আকাশের বিয়েটা যে মানতে পারছিল না তাঁরা কিছুতেই। কিন্তু নতুন প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে, বিয়ের সিঁদুর দানের আগে শুভলক্ষ্মী মনে মনে ভাবছে, ‘যাই হয়ে যাক আদি, মন থেকে আমি শুধু তোমারই…’! আর ঠিক তখনই একটি কৃষ্ণমূর্তি হাতে করে ঢোকে আদৃত।
আদৃতকে চোখের সামনে দেখে, একমুহূর্তে যেন বদলে যায় সব পরিস্থিতি। সব ফেলে দৌঁড়ে চলে যায় শুভলক্ষ্মী। বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে ওঠে, খুলে যায় জোট। উপস্থিত সকলের দৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই, ছুটে যায় স্বামীর কাছে। এদিকে, সেই দৌড়ে যাওয়ার সময়তেই ধাক্কা লেগে উল্টে যায় সিঁদুরের থালা। আর সিঁদুর ছিটকে এসে পড়ে আদৃত শুভলক্ষ্মীর গালে। এবার দেখার আদৌ কি মনে পড়বে আদৃতের পুরনো সব স্মৃতি?
টিআরপি তালিকাতে এখন রীতিমতো ধামাকা করছে গৃহপ্রবেশ। গত সপ্তাহে জি বাংলার মেগা কোন গোপনে মন ভেসেছে-কে হারিয়ে স্লট দখলে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। গৃহপ্রেবেশের টিআরপি রেটিং ছিল ৫.৯ আর কোন গোপনে মন ভেসেছে পেয়েছিল ৫.৪। .৫-এর গ্যাপে স্লট পায় সুস্মিত মুখোপাধ্যায় ও উষসী রায়ের মেগা।
আর প্রোমো থেকে স্পষ্ট যে, ধামাকা হবে আগামী কয়েকটা সপ্তাহে। আদৃতের সব স্মৃতি শুভলক্ষ্মীকে নিয়ে মনে পড়ে গেলে, মোহনা ও আকাশ কী পদক্ষেপ নেবে এরপর? কোনোভাবে কি চেষ্টা করবে তাঁদের মাঝে ঢুকে পড়তে। কৌশাম্বি চক্রবর্তী ও সপ্তর্ষি মৌলিকদেররে নিয়ে কোনোভাবে কি ত্রিকোণ প্রেমের আবহ তৈরি হবে?
নেটপাড়া বেশ উত্তেজিত গৃহপ্রবেশের নতুন প্রোমো দেখে। একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে-র বিদায় ঘন্টা এবার সত্যি বাজতে চলল হয়তো’। আরেকজন লেখেন, ‘আরে এ তো পুরো কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘আদৃত আর শুভলক্ষ্মী এক হলে, আরও মজা আসবে। দারুণ প্রোমো।’