TMC Inner-clash in Cossipore। কাশীপুরে ফিরহাদ-অতীনর সামনে TMC-র মারামারি

Spread the love

উত্তর কলকাতার কাশীপুরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সামনেই হাতাহাতিতে জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী। কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ড্রেনেজ তৈরির কাজের উদ্বোধন করতে সেখানে গিয়েছিলেন ফিরহাদ এবং অতীন। এই নিকাশি প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা ২৮ কোটি টাকা। আর সেই অনুষ্ঠানেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। পরিস্থিতি এমনই হয়ে যায় যে মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের নিরাপত্তারক্ষীরা দুই নেতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। এদিকে এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তা শেয়ার করে আবর তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হাতাহাতিতে জড়ানো দলের দুই গোষ্ঠীকে আলাদা করতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এগিয়ে আসেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরে তাঁদেরই নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। অপরদিকে দুই গোষ্ঠীর তরফ থেকে ততক্ষণে শুরু হয়ে যায় স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগান। এদিকে অভিযোগ, সংঘর্ষে জড়ানো দুই গোষ্ঠীর একটি হল স্থানীয় কাউন্সিলরের, অপরটি হল অতীন অনুগামী। এদিকে এই রক্তারক্তি কাণ্ডের মাঝে হাত ধরে মানববন্ধন করে নিরাপত্তারক্ষী এবং তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রকে অনুষ্ঠান মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যায়।

এদিকে এই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘এই দৃশ্য দেখে আপনি কী ভাবছেন- আরেকজন চাকরি প্রতারক ধরা পড়েছে? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, চোখ খুলুন! এটা তৃণমূল কংগ্রেস—চাল চোর, ত্রিপল চোর, স্কুলের চাকরি কেলেঙ্কারিকারী এবং কাট-মানি রাজাদের দল! আমফান ত্রাণ থেকে শুরু করে রেশন কেলেঙ্কারি, তারা প্রতিটি সংকটকে শকুনের মতো লুট করেছে। এখন? এখন তাদের সম্পর্ক জনসেবার সঙ্গে নয় – বরং ৭০%-৩০% লড়াইয়ের সম্পর্ক! সিন্ডিকেট বনাম সিন্ডিকেট, গ্যাং বনাম গ্যাং, ববি হাকিম এবং বিধায়ক অতীন ঘোষের মতো শীর্ষ নেতাদের সামনেই মারামারি হচ্ছে, জনসমক্ষে রক্তপাত হচ্ছে! এটি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এটা ছদ্মবেশী একটি অপরাধী চক্র। পশ্চিমবঙ্গ শুষ্ট শাসন চায়, গ্যাং-ওয়ার নয়। এতে মানুষ কষ্ট পায়। নেতারা চুরি করা জিনিসপত্রের জন্য লড়াই করে। যথেষ্ট হয়েছে। দুর্নীতি, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং নির্লজ্জ তোষণের এই রাজত্বের অবসানের সময় এসেছে!’

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসে অবশ্য গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন নয়। জেলায় জেলায় দলের অন্দরে একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মাঝে মধ্যেই এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। তা সহিংস আকারও ধআরণ করে। এর দুদিন আগে রাজারহাটের নিউটাউনের নারায়ণতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সময় মোট ৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়েছিল, সেই সংঘর্ষ বেঁধেছিল নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং বিধাননগর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের গোষ্ঠীর মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *