কলকাতার প্রাণকেন্দ্র গড়িয়াহাট। আর এখানেই এক যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কলকাতার বুকে এমন ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাতে বাইরে বের হওয়া কি নিরাপদ নয়? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সরাসরি রাস্তায় দাঁড়িয়ে এভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একজন আর একজনকে কোপালে আতঙ্কের বাতাবরণই তৈরি হয়। এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনা কয়েকজন দেখলেও আক্রমণকারী দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুষ্কৃতী ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরেই সেখান থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে রাস্তায় লোকজনও কম ছিল। সেটার সুযোগ নিয়েই আক্রমণ করা হয়। তাই তাকে ধরা যায়নি। এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে পার্ক সার্কাস সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। আজ, মঙ্গলবার সেখানেই আক্রান্ত যুবক চিকিৎসাধীন। কেন এমন আক্রমণ করা হল? কে ছিল ওই দুষ্কৃতী? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের নাম রকি রাজবংশী ওরফে ভলু। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, পুরনো শত্রুতার জেরে রাতের অন্ধকারে এই হামলা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই যুবক সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত তথ্য হাতে আসবে না। এই ঘটনা গতকাল মাঝরাত ২টো নাগাদ গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত কাকুলিয়া এলাকায় ঘটেছে। প্রথমে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা বাধে রকির সঙ্গে ভোলা, যিশু এবং পিংকুর। তখনকার মতো বচসা মিটে গেলেও পরে রকিকে ডেকে পাঠানো হয় গড়িয়াহাট মোড়ে। তখনই রাস্তায় ফেলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রকি এখন চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যেতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সম্পর্কে বিশদে জানতে ওখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গড়িয়াহাট মোড়ে দিন–রাত পুলিশ পোস্টিং থাকে। তাদের চোখে এটা পড়ল না? উঠছে প্রশ্ন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের সময় ওই যুবকদের সঙ্গে রকির ঝামেলা লেগে ছিল। রকির ওপর তখনও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত গড়িয়াহাট থানা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।