কসবায় ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।আর সেখানে গিয়ে লাঠিপেটা খেতে হয় শিক্ষকদের। শুধু লাঠিপেটা নয়, লাথিও খেতে হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। একদিকে চাকরি যাওয়ার যন্ত্রণা। আর অন্যদিকে সেকথা জানাতে গিয়ে পুলিশের লাঠির মুখে পড়লেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষ বলেন, অবৈধ চাকরিপ্রার্থীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পার্টির লোকজন টাকা খেয়েছে। আর যে ১৮ হাজার বৈধ চাকরিহারা তারা পুলিশের লাঠি খাচ্ছে। এটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যারা চাকরি হারিয়েছে। কাল কী খাবে ঠিক নেই। এই সরকার ন্য়ায় দেবে এটা কেউ আশা করে না। বলেন দিলীপ ঘোষ।
কসবায় ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। আর সেখানেই পুলিশের লাঠির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে লোহার দরজা টপকাতে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। আর সেই আন্দোলনকারীরা ভেতরে প্রবেশ করতেই শুরু হল তাদের লাঠিপেটা।
একের পর এক লাঠি নেমে আসছে চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর। এমনকী লাথি মারতেও দেখা যায়। তার সঙ্গে ঘাড়ধাক্কা। কয়েকজন শিক্ষক পুলিশের মারমুখী লাঠি ধরে ফেলেন। তারপর শুরু হয় ফের মার।
যে শিক্ষকদের হাতে থাকে চক ডাস্টার, তাঁদেরই শরীরে পুলিশের লাঠির দাগ। একেবারে দগদগে হয়ে গিয়েছে। একেবারে অসহায় পরিস্থিতি। গড়িয়াহাটে রাস্তা অবরোধ করেও কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা অবরোধ তুলে নেন।
চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভ। তুমুল বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
কেন তাদের এভাবে পুলিশ লাঠিপেটা করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
চাকরিহারা এক শিক্ষিকা বলেন, আমি চটি চেটে এই জায়গায় আসিনি। সেই ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করে এই জায়গায় এসেছি। আর আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।
এদিকে শিক্ষকদের একাংশ বলেন, আমরা একেবারে মরে গিয়েছি। আমাদের আর মারবেন না।
অপর এক শিক্ষিকার বলেন, যারা আমাদের মারল সেই পুলিশরা যদি কোনও এক সকালে দেখেন তাদের চাকরিটা নেই, তখন কেমন হবে!
তবে পুলিশের অবশ্য দাবি, হালকা বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা, বিনা উসকানিতে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন।চারজন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দুইজন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে।এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।’