স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছিল,এমনকি স্ত্রী তার সাথে সহবাসও করেছেন,তাই এই রাগে নিজের বৌকে শেষ করে দিল স্বামী। হ্যাঁ এমনই অভিযোগ বাপির বিরুদ্ধে।বিন্দুমাত্র আফসোস নেই তার।ঘরে রয়েছে ছোট সন্তান।আট বছরের বিবাহিত সম্পর্কে অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া করতেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা।বহুবার বারণ করেছিলেন বাপি।খেটেখুটে আসার পর স্ত্রীর সাথে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত।আর সহ্য করতে পারছিলেন না।যার কারণে ঘুমের মধ্যেই খুন করেন বৌকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার মাহিনগরে।খুন করার পরই সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী।
জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন বছর আটেক আগে বিয়ে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গায়েনকে।প্রেম করেই বিয়ে করেন তারা।রয়েছে এক সন্তানও।
বিয়ের পর বাপি পার্ক সার্কাসের একটি কারখানায় চাকরি পান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুরের মাহিনগরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেই ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরেই থাকতেন সুপ্রকাশ দাস নামে এক যুবক ও তাঁর স্ত্রী। ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুপ্রকাশের।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় বাপি-প্রিয়াঙ্কার সংসারে। অভিযোগ, সুপ্রকাশ ও প্রিয়াঙ্কা মাঝে মাঝে ধানমাঠ এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে একসঙ্গে সময়ও কাটাতেন।
ধৃত স্বামীর অভিযোগ, তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করছিল প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশ। ফোনে আলোচনা করার সময় নাকি সে কথা শুনে ফেলেন বাপি! তারপর নিজের জীবন বাঁচাতেই স্ত্রীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন। রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়তেই শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপি। প্রিয়াঙ্কার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।