কালো ব্যাজ, প্রতিবাদের ব্যানার। ফের পথে নামল নাগরিক সমাজ। ফের পথে নামলেন আরজি কর আন্দোলনে বার বার নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিবাদকারী চিকিৎসকরা। ফের পথে নামলেন আরজিকর আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা সকলেই শামিল হলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের কর্মসূচিতে। কলকাতার রাজপথে ফের গর্জে উঠলেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামল নাগরিক সমাজ।
এপ্রিলের তীব্র গরম। তার মধ্য়েই রাস্তায় নামলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
কথা ছিল ক্লাসরুমে ক্লাস নেবেন তাঁরা। কিন্তু সেই শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সেকারণে এবার পথে নামলেন তাঁরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন আরজিকর আন্দোলনের চিকিৎসক সমাজ। বহু সাধারণ মানুষ এদিন পথে নামেন।
আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়াকে দেখা যায় একেবারে মিছিলের পুরোভাগে। তাঁর মতো একাধিক চিকিৎসক এদিন মিছিলে শামিল হয়েছেন। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরা। ধর্মতলা পর্যন্ত যাচ্ছে এই মিছিল।
সেই মিছিলে দেখা যায় কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা শামিল হয়েছেন এক অশীতিপর বৃদ্ধ। তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। জামার পেছনে লেখা লজ্জা নেই! সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, বয়স হয়েছে আমার। প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিক, ধর্মতলা পর্যন্ত যাবেন? তাঁর জবাব, শুধু ধর্মতলা কেন, যতদূর যেতে হয় যাব। ওদের সর্বনাশ না দেখে ছাড়ব না।
জুনিয়র চিকিৎসকরাও এদিন পথে নামেন। চাকরিহারা শিক্ষকরা বলেন, আমরা তো স্কুলেই থাকতে চেয়েছিলাম। এখন চাকরি গিয়েছে। রাস্তায় নামা ছাড়া তো আর কোনও পথ নেই আমাদের।
ন্যায় বিচারের দাবি তুলে পথে নামলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চাকরিহারাদের মিছিল। সেই মিছিলে শামিল হল নাগরিক সমাজ। এই মিছিলের সঙ্গে অনেকেই মিল পাচ্ছেন আরজি কর আন্দোলনের মিছিলের। আরজিকরে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল বাংলা। একের পর এক মিছিলে গর্জে উঠেছিল রাজপথ। চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় নানাভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছিল শাসকদল। ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। তবে এবার আবার নতুন করে দানা বাঁধছে আন্দোলন। এবার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। তাঁদের দাবি, কসবায় যেভাবে চাকরিহারা শিক্ষকদের লাঠিপেটা করা হয়েছিল তা মানা যায় না। ডোরিনা ক্রশিংয়ে বসে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষকরা।