এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) খাসতালুকে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের নামে তাণ্ডব। উন্মত্ত জনতার আক্রমণের মুখে পুলিশ। ভাঙল পুলিশের গাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ইমামদের নিয়ে বৈঠক ডাকার দিনই এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশি তৎপরতা।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ ও লাগু করার প্রতিবাদে শুক্রবার আমতলায় পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। কর্মসূচি উপলক্ষ্যে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল। নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উন্মত্ত জনতা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ির কাচ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
জঙ্গিপুরের উমরপুর মোড়ের হিংসার পর এদিনের ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জঙ্গিপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন আরও জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিল না পুলিশ?
বিজেপি নেতা শংকর ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভোটব্যাঙ্কের গায়ে কাউকে হাত দিতে দেবেন না। তাতে কয়েকজন পুলিশকর্মী মার খেলে খাক। কিন্তু পুলিশকে এদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করতে দেবেন না তিনি। বরং তাঁর পুলিশের নিশানা শিক্ষকরা। উনি শক্তের ভক্ত, নরমের যম।
এদিনের তাণ্ডবের জেরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী আহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।