কর্মব্যস্ত জীবনে একটানা কাজের চাপে থেকে অনেকেই নিজের প্রতি যত্নের কথা ভুলে যান। সঠিক সময়ে খেতে পারেন না প্রয়োজনীয় খাবার। যার ফলাফলে হঠাৎই দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ ঘিরে ধরে আপনাকে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন বিশেষ কিছু খাবারে।পুষ্টিবিদরা বলছেন, হঠাৎ দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ অনুভব হলে রোগীকে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে। এজন্য দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ হলে খেতে পারেন-
১। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার: গবেষকরা বলছেন, দুধ হলো হাই প্রোটিনযুক্ত একটি খাবার। এতে খাদ্যের ছয়টি উপাদানই বিদ্যমান রয়েছে। হঠাৎ দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ অনুভব করলে প্রথমেই কুসুম গরম এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে ফেলুন।
দুধ হজম না হলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো ফ্যাট ডেইরি ফুড অর্থাৎ কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করুন। দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রোটিন, কার্ব, এসেনসিয়াল প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদি। যা গ্রহণে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয়।
২। ডিম: ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। শুধু তাই নয়, দেহ এই প্রোটিন অত্যন্ত সহজে গ্রহণ করে নেয়। তবে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কুসুম ফেলে দেন। এটা ঠিক না। কারণ কুসুমে রয়েছে লিউটিন, যা চোখের জন্য ভালো।
তাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস না থাকলে অনায়াসে ডিমের কুসুম খেতে পারেন। দ্রুত দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ কাটাতে দুধ খাওয়ার ৫ ঘন্টা পর সামান্য লবণ দিয়ে একটি সিদ্ধ ডিম খেয়ে ফেলুন। নিমিষেই ভালোবোধ করবেন।
৩। কলা, বাদাম ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার: ডোপামিন ও সেরোটোনিন সমৃদ্ধ কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি চাপ ও দুর্বলতা দ্রুত কমাতে পারে এটি। কলার পাশাপাশি বাদামও শরীরে দ্রুত পুষ্টি জোগাতে পারে। তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দ্রুত দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ কাটাতে সুষম খাবারে রাখতে পারেন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। সবুজ শাকসবজি, মটর, ডাল, টফু, শুকনো ফল ও ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। সকাল, দুপুর ও রাতের ডায়েটে সুষম খাবারের সাথে কলা ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার প্রাধান্য দিলে দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ দূর হয়।