বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফ হিংসায় তছনছ মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুরের সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইউসুফ পাঠান। গুজরাটের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বাংলার আসনে টিকিট দিয়ে প্রথমবারের মতো বহরমপুর আসন দখল করেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, তা শান্ত করতে পথে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ-বিধায়করা। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস, সকলেই রাস্তায় নেমে মানুষজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তবে ইউসুফ পাঠান সেখানে নেই। আর এই নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। সিপিএম থেকে বিজেপির অনেকেই এই নিয়ে সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাধারণ মানুষ এই নিয়ে সরব হয়েছেন। এই আববে ইউসুফ পাঠানের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।
দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্যরা ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে পোস্ট করেছেন। আবার ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে পোস্ট করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। এদিকে ইউসুফ পাঠান একদিন আগেই একটি চবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, সাদা প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরে আছেন ইউসুফ। হাতে তাঁর এক কাপ চা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আরামদায়ক বিকেল, চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।’ তিনি সেখানে যখন চা উপভোগ করছিলেন, সেই সময় মুর্শিদাবাদে রক্ত ঝরছে। পুলিশ পর্যন্ত ‘মার খেয়েছে’ বলে অভিযোগ সেখানে। এই ইউসুফ পাঠান সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় গুজরাট’ বলেছিলেন। তবে গুজরাটি এই ক্রিকেটারকে বাংলায় তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে সেভাবে দেখা যায় না বলেই অভিযোগ।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। সেই বৈঠকে রাজ্যের ডিজিপি জানান, ধুলিয়ান-সহ আশপাশের এলাকায় এখনও চারা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, মুর্শিদাবাদে আগে থেকেই মোতায়েন ছিলেন ৩ কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান। আরও পাঁচ কোম্পানি জওয়ন মোতায়েন করা হবে জেলায়। এই আবহে সব মিলিয়ে ৮০০ জনের কাছাকাছি বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন থাকবেন জেলায়।