বাংলার মানুষকে নিয়ে গর্বে বুক ফোলে বাঙালির। দাদাকে নিয়ে চর্চার কোনো অন্ত নেই। বিশেষ করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে জানার ইচ্ছে মানুষের বরবরের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে Your Food Lab কুকিং চ্যানেলে এসেছিলেন সৌরভ বিশেষ অতিথি হয়ে।
শেফ সঞ্জোত কীর সেই ভিডিয়োতে সৌরভের কাছে জানতে চান যে, ‘ধরুন আপনার বাড়িতে কোনো অতিথি এসছে। আর আপনাকে যদি বাঙালি খাবার খাওয়ানোর কথা বলা হয়, তাহলে কী কী থাকবে মেনুতে? আপনার প্রিয় হতে হবে।’
তাতে সৌরভ জানান, ‘পোলাও-মটন, লুচি আর ছোলার ডাল, আলু পোস্ত, ফিশ ফ্রাই, ইলিশ।’ আর ডেজার্ট হিসেবে, ‘মিষ্টি দই, রসগোল্লা, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, কমলাভোগ’-এর নাম নেন দাদা।
আর এই ভিডিয়ো দেখে হাল খারাপ নেটিজেনদের। একজন লেখেন, ‘আমার মুখ জলে ভরে উঠেছে। বাঙালিদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।’ আরেকজন লেখেন, ‘কমলাভোগের নাম নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কলকাতার লুকনো রত্ন হল এই কমলাভোগ।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘দাদা মনপ্রাণ থেকে কতটা খাদ্যরসিক বাঙালি, তা এই পদের নামগুলো থেকেই স্পষ্ট’। আরেকজন লেখেন, ‘রাতের খাবার খেয়ে এই ভিডিয়ো দেখতে বসেছিলাম, আবার খিদে পেয়ে গেল আমার।’
নিজের শো দাদাগিরিতেও হামেশাই খাবারের প্রতি একসময়ের আকর্ষণ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় দাদাকে। কীভাবে পাকিস্তানে গিয়ে সবার চোখের আড়ালে গিয়ে, স্ট্রিট ফুড চাখতে চলে গিয়েছিলেন, কীভাবে একবার তিনি ও শচিন তেন্ডুলকর মিলে ১ থালা কাঁকড়া খেয়েছিলেন, সব গল্পই শুনিয়েছেন নিজে। তবে বয়স বাড়ার পর, ফিটনেস ধরে রাখতে কড়া ডায়েটে থাকেন দাদা। খাদ্যতালিকায় ভাত-রুটি থাকে না বললেই চলে। বছরে একবার খান নিজের প্রিয় খাবার বিরিয়ানি, তাও আবার বউ ডোনার জন্মদিনে।
একইসঙ্গে বছরখানেক আগে হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল সৌরভের। স্টেন্ট বসেছে। তাই চিকেন, মটন বা যে কোনও ধরণের মাংস বাদ গিয়েছে খাদ্যতালিকা থেকে। চকোলেট, মিষ্টি, চিনি বা নুনও আর ছুঁয়ে দেখেন না। সকালে উঠে সবার আগে খান করলার রস। এমন দাবি এর আগে একবার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।