ওয়াকফ ইস্যুতে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মুর্শিাবাদ। এই আবহে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো উচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দেয়। এরপরই দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি পৌঁছে যান ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এরই সঙ্গে জানা যায়, গতকাল বিএসএফের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদে জওয়ানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপির সঙ্গে বৈঠকও করেন বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি কর্ণি সিং শেখাওয়াত।
এদিকে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে বিএসএফ আধিকারিক বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের তাদের সাথে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। কেবল এই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। আমরা পুলিশকে সাহায্য করার জন্য আমাদের ৫টি কোম্পানি পাঠিয়েছি। আমরা এখানে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য এসেছি, স্বাধীন ভাবে পদক্ষেপ করার জন্য নয়। আমরা রাজ্য পুলিশের দাবি অনুযায়ী কাজ করব… আমরা আশা করি শীঘ্রই এখানে শান্তি ফিরে আসবে… যদি পুলিশের আরও কোম্পানির প্রয়োজন হয়, আমরা তাদের সরবরাহ করব… বিএসএফ সকল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
এর আগে গতরাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্য়সচিবের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। মুর্শিদাবাদে হিংসা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন কী করেছে, তা জানতে চান তিনি। সেই সঙ্গেই রাজ্যকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩০০ জন বিএসএফকে স্থানীয়ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধে অতিরিক্ত ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য় নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। এদিকে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকাতেই পুলিশের উপর ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে। তাঁদের একাংশের মতে, অশান্তির সময় পুলিশের খোঁজ মেলেনি বহু জায়গায়। কোথাও আবার পুলিশ এলেও তারাও আতঙ্কে ছিল। এর আগেও দেখা গিয়েছে, মারমুখি ওয়াকফ আন্দোলনকারীদের তাড়া খেয়ে পুলিশ কারও দোকানে তো মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিএসএফ আসতেই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে।