নবরাত্রি শেষের পরই রাক্ষসরা জেগে উঠেছে। আইপিএল (Indian Premier League) -এর ম্য়াচ দেখার পর সেকথাই বলছেন অনেকে। আসলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের ব্যাটিং লাইন আপ দেখে অনেকেই মজা করে ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মাদের রাক্ষস বলে ডাকেন ভালোবেসে। কারণ তাঁরা নাকি বোলারদের কেরিয়ার খেয়ে নেন বা নষ্ট করে দেন।
এবারের আইপিএলে গতবারের ফাইনালিস্টরা একদমই ভালো ফর্মে ছিল না। কিন্তু পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৩৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ৯বল বাকি থাকতেই চেজ করে নিয়ে ফের কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েছে সানরাইজার্স। অভিষেক শর্মার দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ট্র্যাভিস হেডও অর্ধশতরান করে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। সেসব দেখেই শ্রেয়স আইয়ার তো বলেই ফেললেন, সানরাইজার্সের রান চেজ করা দেখে তাঁর হাসি পাচ্ছিল।
ম্যাচ শেষে পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক বললেন, ‘সত্যি কথা যদি বলি তাহলে এটা ভালোই স্কোর ছিল। এখনও আমার হাসি পাচ্ছে এটা ভেবে যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই রানটা ২ ওভার বাকি থাকতেই তুলে দিল। আমরা কয়েকটা ক্যাচ নিতে পারতাম, কিন্তু অভিষেক এই বিষয়ে সৌভাদ্যবান। ও অসাধারণ খেলেছে। তবে আমরাও একদম ভালো বোলিং করতে পারিনি, পরের ম্যাচের আগে এই ভুলগুলো আমাদের শুধরে ফেলতে হবে’।
শ্রেয়স হেড-শর্মাদের দুরন্ত ইনিংস নিয়ে বলছিলেন, ‘অভিষেক আর ট্র্যাভিসের ওপেনিং পার্টনারশিপটা দুর্দান্ত ছিল। ওরা আমাদের সেভাবে কোনও সুযোগই দেয়নি ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার। ওভার রোটেশনটা আমাদের ভালো করা উচিত ছিল। ফার্গুসন কিন্তু উইকেট তুলে দেয়, তবে ওর চোটটা হয়ে গেল, তবে এটা খেলারই অঙ্গ। এগুলোই আমাদের শিক্ষা। আমি আর নেহাল ভাবছিলাম ২৩০ রান এই মাঠে ভালোই স্কোর। তবে আমার মনে হয় ডিউ ফ্যাক্টর আমাদের জন্য কাজটা আরও কঠিন করে দিয়েছিল। যেভাবে সানরাইজার্সের ওপেনাররা ব্যাটিং করেছে, এটা মানে ভাবা যায় না। আমার চোখে দেখা অভিষেকের শতরানটা সেরা ইনিংস ছিল ’।
প্রসঙ্গত এর আগেও আইপিএলের সর্বোচ্চ রান তাঁড়া করে জিতেছিল পঞ্জাব কিংসই, যদিও সেবার কেকেআরের হয়ে খেলছিলেন তিনি। ইডেনে তাঁর বর্তমান দল তাঁর প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ২৬২ রান তাঁড়া করে জিতেছিল। এবার তাঁর দল হারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের মাঠে এই নিয়ে ৯টি ম্যাচে জিতল সানরাইজার্স। ২০১৫ সালের পর থেকে এই ভেনুতে টানা ৮ ম্যাচেই পঞ্জাবকে হারাল হায়দরাবাদ।