মাওবাদীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের সময় ঝাড়খণ্ডের সারন্ডা জঙ্গল থেকে পাঁচটি এবং পশ্চিম সিংভূম জেলার কোলহান জঙ্গল থেকে দুটি আইইডি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি সারান্ডা জঙ্গলে শীর্ষ মাওবাদী নেতা মিসির বেসরার গোপন আস্তানাসহ মোট ১১টি বাঙ্কার ও ছয়টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন এসপি আশুতোষ শেখর। এদিকে ছত্তিশগড়ে আবার শীর্ষ দুই মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে অভিযানে। ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায় কিলম-বারগুম গ্রামে সেই অভিযান হয়। মৃত মাওবাদীদের নাম হালদার এবং রামে। হালদারের মাথার দাম ছিল ৮ লাখ টাকা এবং রামের মাথার দাম ছিল ৫ লাখ টাকা। এই নিয়ে চলতি বছরে মোট ১৪০ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে দেশজুড়ে। এর মধ্যে ১২৩ জনকে বস্তার এলাকাতেই খতম করা হয়েছে।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের সারান্ডা জঙ্গলের ছোটনগর, বাবুডেড়া ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। মঙ্গলবার এখানে পাঁচটি আইইডি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ কেজি ওজনের একটি আইইডি, ১০ কেজি ওজনের দুটি আইইডি বোমা এবং পাঁচ কেজি ওজনের দুটি আইইডি বোমা। ঘটনাস্থলেই সব আইইডি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। এভাবে নকশালদের একটি বড় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে।
এদিকে শীর্ষ নকশাল নেতা মিসির বেসরার বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়ছে। মিসিরের মাথার দাম কোটি টাকা। এছাড়া নকশালদের আরও দশটি বাঙ্কার ও ছয়টি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কোলহান জঙ্গলের টন্টো থানা এলাকার বনগ্রাম লুইয়া ও বাকরাবেড়া সংলগ্ন এলাকায় নকশাল কার্যকলাপের খবর পেয়ে মঙ্গলবার থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদিকে, বাকরাবেড়া গ্রামের আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানে দুটি আইইডি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি আইইডিরই ওজন চার কেজি।
এদিকে মঙ্গলবারই বস্তারে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই হয় মাওবাদীদের। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ জানান, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং বস্তার ফাইটার্সের যৌথ বাহিনী এই অভিযান চালায়। এদিকে মৃত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত হালদার পর্ব বস্তার ডিভিশনের সদস্য এবং মাওবাদী কমান্ডার ছিল। নিহত রামে ছিল এরিয়া কমিটির সদস্য। এদিকে সেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে বাহিনী।