কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা শীঘ্রই শুরু হতে পারে। ভারত ও চিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। এর আগে ভারত ও চিনের মধ্যে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে অচলাবস্থা বজায় ছিল। তবে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোচ্ছে। এর জন্যে উভয় দেশের তরফ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে।
কোভিড-১৯ অতিমারি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার কারণে ২০২০ সাল থেকে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা স্থগিত করা হয়েছিল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুটি রুটে (লিপুলেখ পাস (উত্তরাখণ্ড) এবং নাথু লা (সিকিম) দিয়ে এই যাত্রার আয়োজন করে থাকে। এই স্থানটি হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। যদি এই বছর এই সফরটি আবার শুরু হয় তবে এটি ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে একটি বড় এবং ইতিবাচক লক্ষণ হবে।
উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয় ২০২৪ সালের দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে ‘যাচাই পর্ব’ চালিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। এই আবহে লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং রাশিয়ার কাজান শহরে বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন দু’জনে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ায় ২০২৪ সালের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের টহলের অধিকার মেনে নিয়েছে চিন। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কেটেছে।