পাকিস্তান কীভাবে আফগানিস্তানে পথ হারিয়েছে, এবং কীভাবে তারা নিজেদের তৈরি সন্ত্রাসের ফাঁদেই আটকে পড়েছে, সেই পর্দা ফাঁস করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই নিয়ে মঙ্গলবার গুজরাটের চারোতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, ‘পাকিস্তান ডাবল গেম খেলছিল। তা তালিবান এবং অন্য পক্ষের সাথে খেলে চলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু যখন আমেরিকানরা চলে গেল, তখন পাকিস্তান আর তাদের ডাবল গেম টিকিয়ে রাখতে পারল না।’ জয়শংকর বলেন, ‘এই গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ইন্ডাস্ট্রি খুলে রেখেছে পাকিস্তান। তবে যে সন্ত্রাসবাদের কারখানা তারা খুলে রেখেছিল, এখন সেটাই পাকিস্তানের পালটা ক্ষতি করছে।’
উল্লেখ্য, বিগত দিনে তালিবানের সঙ্গে ইসলমাবাদের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আফগান মাটিতে হামলা চালিয়ে পাকিস্তান নিরপরাধ মানুষ মেরেছে বলে অভিযোগ করেছে কাবুল। এদিকে টিটিপি-র ক্রমাগত হামলায় জর্জরিত পাক সেনা। এই আবহে আফগান শরণার্থীদের দেশছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। তা নিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জোর তরজা চলছে। এই সবের মাঝে ইসলামাবাদের এক সময়কার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ তালিবান হয়ে উঠেছে তাদের পয়লা নম্বর শত্রু। এদিকে তালিবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বিগত দিনে।
এদিকে মঙ্গলের অনুষ্ঠানে জয়শংকর বলেন, ভারত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, কিন্তু সন্ত্রাসবাদের ক্ষত আমাদের গায়ে দৃঢ়ভাবে রয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বর্তমানে আমাদের ব্র্যান্ড হচ্ছে প্রযুক্তি। এটাই পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য। যদি সন্ত্রাসবাদ হয়, আমরা প্রতিশোধ নেব, কিন্তু কেন আমি আমার মূল্যবান সময় পাকিস্তানের পিছনে ব্যয় করব?’ জয়শংকর বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল; কারণ সে সময় ভারতীয়রা সম্মিলিতভাবে অনুভব করেছিল যে প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না।’