21.16 Acres for 99 Paisa। TCS-কে ৯৯ পয়সায় ২১.১৬ একর জমি দিল চন্দ্রবাবুর সরকার!

Spread the love

রাজ্য়ে শিল্প, প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা ও সর্বোপরি শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার যে কতটা উদ্যোগী, সেই বার্তাই দেওয়া হল রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে। কারণ, কর্মসংস্থানের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য টাটা কসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস-কে মাত্র ৯৯ পয়সায় দেওয়া হল ২১.১৬ একর জমি!

সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য বলছে, ওই ৯৯ পয়সা নেহাতই ‘টোকেন মানি’ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। বদলে বিশাখাপত্তনম তথা ভাইজাগে ওই বিপুল পরিমাণ জমি টিসিএস-এর হাতে তুলে দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।

দ্য ইকোনমিক টাইমস অনুসারে – এই জমির চুক্তি রাতারাতি হয়নি মোটেও। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের (২০২৪) অক্টোবর মাসে। সেই সময় মুম্বইয়ে অবস্থিত টিসিএস-এর প্রধান কার্যালয়ে যান অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ।

সূত্রের দাবি, সেই সফরেই টিসিএস-এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন, যাতে তারা তাদের পরবর্তী প্রকল্প নির্মাণের জন্য দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশকেই বেছে নেয়।

এরপর গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে টিসিএস-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা একের পর এক বৈঠক করেছেন, আলোচনা হয়েছে। আর, তার জেরেই শেষমেশ রাজ্য়ের মন্ত্রিসভা এই জমি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে।

মানিকন্ট্রোল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকার পক্ষের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এটি আমাদের কাছে একটি সনদ মুহূ্র্ত।’

ওই আধিকারিক জানান, নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় সেরাজ্য়েও মাত্র ৯৯ পয়সায় টাটা গোষ্ঠীকে জমি দেওয়া হয়েছিল। যা পরবর্তীতে রাজ্য়ের শিল্পক্ষেত্রের চিত্রপটই বদলে দেয়! এবার আমরাও সেটাই করলাম।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনুসারে, এই প্রেক্ষাপটে টিসিএস আগামী ৯০ দিনের মধ্য়েই ভাইজাগে তার ‘অপারেশন’ শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তার মানে মোটেও এমনটা নয় যে আগামী ৯০ দিনের মধ্য়েই ভাইজাগের ওই প্রকল্প এলাকায় সমস্ত পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আসলে, সেই কাজ হবে তার মতো করেই। কিন্তু, আপতত ভাড়া নেওয়া কোনও জায়গায় তাদের কাজ শুরু করবে টিসিএস কর্তৃপক্ষ।

এরপর যখন প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে, তখন পুরো পরিকাঠামো সেখানেই পাকাপাকিভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। চাকরি পাবেন অন্তত ১০,০০০ তরুণ-তরুণী। আশা করা হচ্ছে, নির্মাণকাজ শেষ করতে ২ বছরের মতো সময় লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *