বর্তমানে এদেশে সবথেকে বেশি ধনী হলেন আম্বানিরা। তবে ব্যবসায়ী পরিবার হওয়ার পাশাপাশি আম্বানি বংশ বেশ আধ্যাত্মিকও বটে। মুকেশ ও নীতা আম্বানি দুজনেই তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতি মেনে চলার জন্য প্রায়দিনই চর্চায় থাকেন। অনেকেই হয়ত খেয়াল করে থাকবেন, IPLটিম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক নীতা আম্বানিকে বহুবার, বহু সময় ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে মন্ত্র পাঠ করতে দেখা গিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা, মুম্বই ইন্ডিয়ানস একপ্রকার KKR-এর কাছে হারতে বসেছিল, ঠিক তখনই স্টেডিয়ামে বসে মন্ত্র জপ করতে দেখা যায় নীতাকে। আর এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাচক্রে ম্যাচের চেহারা বদলে যায়। KKR-কে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ানস। এদিকে ম্যাচ চলাকালীন নীতার মন্ত্র উচ্চারণের সেই ভিডিও সেসময় ভাইরাল হয়েছিল, যা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কী এমন মন্ত্র জপ করেন নীতা?
পরে জানা যায়, নীতা আম্বানি নাকি চণ্ডী পাঠ করছিলেন। চণ্ডী পাঠ আবার দুর্গা সপ্তশতী বা দেবীমাহাত্ম্যম নামেও পরিচিত। যে শ্লোকগুলির মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এটি হিন্দুধর্মের ১৮টি প্রধান পুরাণের মধ্যে একটি, মার্কণ্ডেয় পুরাণের একটি অংশ। এই গ্রন্থে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে যা ১৩টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীপাঠে দেবী দুর্গা এবং মহিষাসুরের মধ্যে যুদ্ধের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। এই পাঠে ঐশ্বরিক নারীত্বের শক্তির মহিমা তুলে ধরা হয়েছে এবং মন্দের উপর শুভের জয়ের কথা বলা হয়। সনাতন ধর্মে বহু শুভ অনুষ্ঠানেই চণ্ডীপাঠ করানো হয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে চণ্ডীপাঠ জপ করলে বা শুনলে আধ্যাত্মিক শুদ্ধি এবং ইচ্ছা পূরণ হয়।
বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, আম্বানি পরিবারের প্রধান পুরোহিত চন্দ্র শেখর শর্মা বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচের আগে চণ্ডীপাঠ করি। এটি ভগবান দুর্গার পাঠ এবং ভাগ্যউন্নতির জন্য করা হয়। এটি সকলকেই শক্তি দেয়।’
এদিকে নীতার এই মন্ত্র জপ জ্যোতিষীদের আলোচনারও অংশ হয়ে উঠেছে। তাঁদের কথায়, নীতা আসলে লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্ত্র জপ করছিলেন। এটি ঠিক কীভাবে করা হয়, তার বর্ণনায় ওই জ্যোতিষী বলেন, ‘আপনার রিং ফিঙ্গারে সুগন্ধী নিয়ে সেটি বুড়ো আঙুলে ঘষে নিন, তারপর সেই আঙুলটি কপালে ঘাড়ের ডান ও বাম অংশে ঘষুন আর বলুন ওঁ লক্ষ্মী নারায়ণ নমঃ নমঃ, ওঁ লক্ষ্মী নারায়ণ নমঃ নম, ওঁ লক্ষ্মী নারায়ণ নমঃ নমঃ!’ এটি আপনি ৪৫ দিন টানা করুন, দেখবেন, আপনার কাছে সুখ সম্বৃদ্ধি সবই আসবে। এটা ১০০ শতাংশ কাজ করে বলেও দাবি করেন ওই জ্যোতিষী।