ওয়াকফ মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে সাতদিনের মধ্য়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে যে আবেদন জমা পড়েছে তার উপরে কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দ্য ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আইন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হবে যখন মামলাকারীরা কেন্দ্রের জবাব রিভিউ করবেন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্য়ে জবাব দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে সমস্ত ওয়াকফ বোর্ড, কাউন্সিলে নতুন করে নিয়োগ আপাতত করা যাবে না। আগামী ৫ মে দুপুর ২টোর সময় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি হবে বলেও জানা গিয়েছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস রেকর্ড করেছে যে এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং বোর্ডগুলিতে কোনও নিয়োগ করা হবে না।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে,
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশনের জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আশ্বাস উল্লেখ করে জানিয়েছে যে শুনানির পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত, ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’, যা বিজ্ঞপ্তি দ্বারা ঘোষিত বা নিবন্ধিত হয়, তা ডিনোটিফাই করা হবে না বা তার চরিত্র পরিবর্তন করা হবে না।
কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াকফ কাউন্সিল বা ওয়াকফ বোর্ডে কোনও নিয়োগ করা হবে না।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয়।
কারা পিটিশন দাখিল করেছেন?
সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি সংসদে অনুমোদিত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতার বিরুদ্ধে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির আবেদনসহ একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি চলেছে।
ওয়েইসির আবেদন ছাড়াও শীর্ষ আদালত আম আদমি পার্টির নেতা আমানাতুল্লা খান, অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস, আরশাদ মাদানি, সামস্থ কেরালা জামিয়াতুল উলেমা, অঞ্জুম কাদারি, তৈয়ব খান সালমানি, মহম্মদ শফি, মহম্মদ ফজলুর রহিম এবং আরজেডি নেতা মনোজ কুমার ঝায়ের দায়ের করা আবেদনগুলির শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওয়াইএসআরসিপি, সিপিআইয়ের তামিলাগা ভেট্টি কড়গমের প্রধান এবং অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া বিজয়ও এই ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি), জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ, দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কড়গম (ডিএমকে), কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি এবং মহম্মদ জাভেদও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আবেদনকারী।