আইপিএলের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে একার হাতেই কার্যত দিল্লি ক্যাপিটালসকে জিতিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার গতবার ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। তবে তার দাম অনুযায়ী খুশি ছিলেন না নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্ট। শুরুর দিকে গতবার সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি তিনি। অবশ্য শেষদিকে এসে তিনি পুশিয়ে দিয়েছিলেন। প্লে অফে একাই কার্যত শেষ করে দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টপ অর্ডারকে। যদিও এবারের আইপিএলের নিলামের আগে স্টার্ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল কেকেআরের তরফ থেকে।
সুপার স্টার ‘স্টার্ক’
এরপরই রাজধানীর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি অজি বিশ্বকাপজয়ী পেসারকে দলে নিয়েছিল অনেক আশা করেই। আর তাদের ভরসার দাম প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দিচ্ছেন অজি তারকা। রাজস্থান রয়ালসের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে মাত্র ১৩ রান ডিফেন্ড করতে হতো স্টার্ককে। সেটাই তিনি করে দেখিয়েছেন এবং দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছেন। পরপর ইয়র্কার, আউট সাইড অফ স্টাম্প বলে রাজস্থান ব্যাটারদের নাজেহাল করে দেন তিনি।
রাজস্থান ম্যাচে দিল্লির নায়ক স্টার্ক
শুধু তাই নয় একটা সময় রাজস্থান ছিল চালকের আসনে। সেখান থেকে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ার পিছনেও স্টার্কের অবদান রয়েছে অনস্বীকার্য। কারণ শেষ দিকে নিজের স্পেলের দু ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন তিনি। এমনকি ৯ রান মাত্র রাজস্থানের দরকার ছিল ২০তম ওভারে। তখনও মাত্র আট রান দিয়ে ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যান স্টার্ক নিজের কারিশমায়। ফলের দিল্লি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট তার উপর অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
স্টার্কের নামে পোস্টার
এবার দিল্লি রাস্তায় দেখা মিলল এক অভিনব পোস্টারের। সেখানে দেখা যাচ্ছে স্টার্কের নামে রাস্তার ধারে পড়েছে হোডিং। সেখানে লেখা বিনা চালানকে স্পিডিং কার সাক্তা হু। এই ছবি মুফাদ্দল ভোহরা নামক এক ইউজার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে, কারণ স্টার্কের জনপ্রিয়তা ভারতীয়দের মধ্যেও প্রবল রয়েছে।
এর অর্থ তিনি চাইলে দ্রুত গতিতে বোলিং করতে পারেন, কিন্তু তাকে পুলিশ বা কেউ আটকাতে পারবেনা। কারণ রাস্তায় জোরে গাড়ি চালানোর জন্য অর্থাৎ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য পুলিশ ধরতে পারে। তবে মাঠে যত দ্রুতই তিনি বোলিং করবেন না কেন, প্রতিপক্ষ ঘায়েল হলেও আম্পায়ার কিছুই বলতে পারবে না , সেটাই হয়ত বোঝাতে চাইলো দিল্লি ম্যানেজমেন্ট এই হোডিং এর মাধ্যমে।