Anurag Kashyap। সেন্সর বোর্ডের কোপে ‘ফুলে’

Spread the love

জ্যোতিরাও ফুলের বায়োপিক নিয়ে তৈরি ‘ফুলে’। এই সিনেমার হাত ধরে পর্দায় ফুটে উঠবে, জ্যোতিরাও ফুলে এবং সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন কাহিনী। কিন্তু মুক্তির আগেই সমস্যায় পড়তে হল এই সিনেমাকে। সিনেমার বহু দৃশ্যে সেন্সর বোর্ডের কাঁচি চালানোয় ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ অনুরাগ কাশ্যপ।

অনন্ত মহাদেবন পরিচালিত ‘ফুলে’ সিনেমায় জাতিভেদ প্রথা, দলিত সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ, পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মণ্ডল সহ আরও অনেক সংগঠন। শুধু তাই নয়, এই সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য নতুনভাবে তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।

সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাস আগে এমন একটি নির্দেশ পেয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন পরিচালক। পরিচালক অনন্ত মহাদেবনের স্বপক্ষে এবার মুখ খুললেন অন্যতম পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের দলিত জাতিদের ওপর অত্যাচারের দৃশ্য সিনেমায় থাকলে কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন অনুরাগ।

বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগ একটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি আমার জীবনে যে প্রথম নাটক করেছিলাম সেটি ছিল জ্যোতিরাও ফুলে এবং সাবিত্রী বাইয়ের জীবন নিয়ে। এই দেশে সত্যি যদি জাতিভেদ প্রথা না থাকতো তাহলে হয়তো ওনাদের লড়াই করতে হতো না। কিন্তু এসব দেখাতে অসুবিধা কোথায়? ব্রাহ্মণ সমাজ কেন লজ্জা পাচ্ছে? সত্যি যদি এসব না হয়ে থাকে তাহলে ওঁরা কোনও আলাদা জগতে বাস করতেন নাকি? নাকি সেই জগতের কথা আমরা জানি না? আমাকে যদি কেউ একটু বুঝিয়ে বলেন তাহলে ভালো হয়।’এখানেই কিন্তু থেমে থাকেননি অনুরাগ। তিনি এই বিষয় নিয়ে আরও একটি পোস্ট করেন। দ্বিতীয় পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে। একটি সিনেমা যখন সেন্সারশিপের জন্য যায়, সেই সিনেমা দেখার অধিকার থাকে বোর্ডের মাত্র চারজন সদস্যের। এই সদস্যরা সিনেমা দেখে ছাড়পত্র দেন। তাহলে কীভাবে একটি সিনেমা পৌঁছে যায় এই ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলির কাছে? তাঁরা কীভাবে এই সিনেমা দেখতে পেলেন?’

অনুরাগের আরও সংযোজন, ‘আমার মনে হয় পুরোটাই কারছুপি। এক সময় ভারতের বুকে চলা জাতপাতের কুপ্রথার গল্প যাতে মানুষের সামনে না চলে আসে, তাই এত কিছু করা। বিষয়টি তাঁদের কাছে এতটাই লজ্জাজনক যে তাঁরা সিনেমা যাতে মুক্তি না পায় তার জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন। বোঝাই যাচ্ছে কতটা ভীতু কাপুরুষ ওঁরা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *